করোনায় আক্রান্ত রোগী: ডাক্তারসহ ১৮ জন কোয়ারেনটাইনে
৪ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫৪ | আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালের তিন ডাক্তারসহ ১৮ জনকে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি মিয়া সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি নগরীর মেহেদিবাগে বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালের আউটডোরে একদিন এবং আরেকদিন ভর্তি হয়ে মোট দুইদিন চিকিৎসা নিয়েছিলেন। তার চিকিৎসায় নিয়োজিত তিনজন ডাক্তার, তিনজন নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট ১৮ জনকে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শুনেছিলাম, আক্রান্ত ব্যক্তি পাঁচলাইশে পার্কভিউ হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু রোগী বলেছেন, নেননি। তবে নিলেও পার্ক ভিউ হাসপাতালের কাউকে কোয়ারেনটাইনে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কারণ সেখানে সবাই পিপিই (পাবলিক প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট) পরে চিকিৎসা দেন। ন্যাশনাল হাসপাতালে পিপিই ছাড়াই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে।’
আক্রান্ত ব্যক্তি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই হাসপাতালেও পিপিই পরেই তাকে ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন বলে সিভিল সার্জন জানান।
ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। শুরু থেকেই তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়।
শুক্রবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ- বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
আক্রান্ত ব্যক্তির বাসা চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়ায়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের পর নগরীর দামপাড়ায় ৬টি ভবন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিভাবে হয়েছে, সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
তিনি সারাবাংলাকে জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির মেয়ে, জামাতা ও শাশুড়ি গত ১২ মার্চ সৌদিআরব থেকে চট্টগ্রামে এসে তার বাসায় ওঠেন। পরে তারা সাতকানিয়ায় নিজেদের বাড়িতে যান। তবে ১৪ দিন পার হলেও এই তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।
এরপরও সাতকানিয়ায় তাদের বাড়ির আশপাশের ১২টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের কারও শরীরে জ্বর কিংবা সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট আছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।