হ্যানয়ের বাংলাদেশ মিশনে স্বাধীনতা দিবস পালন
২৬ মার্চ ২০২০ ১৭:২৪ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ১৭:২৬
ঢাকা: ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬শে মার্চ) হ্যানয় মিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় জানানো হয়, স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ ভোরে মিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দূতাবাসের স্বল্প সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ সময় উপস্থিতি ছিলেন। এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ ও জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনাও হয় এদিন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক এক আলোচনায় অংশ নেন। তিনি তার বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। ৩০ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগ এবং ২ লাখ নারীর নির্যাতন ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তিনি বিনম্ভ্র চিত্তে ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং অর্জনের ওপর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল । এই বছরটিকে বাংলাদেশ সরকার মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে; যা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচি পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনাগুলো হলো- ভিয়েতনাম সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু ওপর মুড়াল স্থাপন; বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিয়েতনামীজ ভাষায় অনুবাদ এবং ভিয়েতনামে বঙ্গবন্ধু স্বারক ডাক টিকেট প্রকাশ।’
এ সময় তিনি ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের একসঙ্গে করার আহব্বান জানান। দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আলোচনা পর্বে বর্তমানে বিশ্বে যে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে প্রতিনিয়ত জীবন হানি হচ্ছে এবং বংলাদেশও এই ঝুঁকিতে আছে, সে জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করে সমবেদনা ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করে।
করোনাভাইরাস থেকে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের জনগণের মুক্তির জন্য প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মেনে নিরাপদ থাকার জন্য সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহব্বান জানানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
নিরাপদ দূরত্ব বাংলাদেশ মিশন রাষ্ট্রদূত স্বাধীনতা দিবস হ্যানয়