Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা উৎসবে মেতেছে মানুষ, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রীদের ঢল!


২৬ মার্চ ২০২০ ০৮:৫৯ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ১২:৪৫

ডিস্ট্রিক্ট কসেপন্ডেন্ট

মুন্সীগঞ্জ: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ছুটি ঘোষণা করা হলেও এই সুযোগে বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে ছুটেছে মানুষ। অনেকের কাছে হঠাৎ পাওয়া এই ছুটি যেন করোনা উৎসবে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে দেখা গেছে হাজারো মানুষের ঢল। দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বারে শুরু হয়েছে পারাপারের প্রতিযোগিতা।

দেশের সার্বিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক নৌ-রুটের সকল লঞ্চ ও সী-বোট বন্ধ করায় ঘাটে বাড়তি চাপ যাত্রীদের।

এই সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও তারা ফিরছেন বাড়িতে। অনেকে আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করেও পার হচ্ছেন নদী।

শিমুলিয়া ফেরি ঘাট, লঞ্চ ঘাট ও সী-বোট ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কাঠালবাড়ী, মাঝিকান্দি ও মাছ ধরার অসংখ্য অবৈধ ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে। এসময় অবৈধ ট্রলার চালানোর অভিযোগে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা পাঁচ জনকে আটকও করেছে।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান জানান, ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় ছিল ঈদের চেয়ে বেশি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তাদের মাইকিং করে নিরাপদ দূরুত্বে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং অবৈধ ট্রলারগুলো বন্ধ এবং চালকসহ পাঁচটি ট্রলার আটক করা হয়েছে। যাত্রীদের সচেতনতাও ঝুঁকি এড়াতে ফেরিতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ঘাটে ফেরি চলাচল করলেও পারাপারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে ৫ শতাধিক যানবাহন। আর এসব যানবাহনের সারি শিমুলিয়া ঘাট থেকে কুমারভোগ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। আটকে পড়া এসব যাত্রীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের বাসগুলো বন্ধ না করে শুধু লঞ্চ, ফেরি ও সি-বোট বন্ধ করায় দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে বহুগুণ। ঢাকা থেকে বাসগুলো আগে বন্ধ করে দিয়ে পরে ফেরি, লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল বন্ধ করলে আর যাত্রীদের দুর্ভোগ হতো না।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গত মঙ্গলবার (২৪-মার্চ) দুপুরে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ থাকায় এ রুটে সব ধরণের ফেরি চলাচল অব্যাহত রয়েছে তবে যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসি মাওয়ার সহকারী মহা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, ঘাটে যানবাহনের চাপ থাকায় এখনো এ রুটে ১৪টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। সকাল থেকেই ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি রয়েছে। বিআইডাব্লিউটিএ (মাওয়া) পোর্ট অফিসার শাহআলম জানান, লঞ্চ ও স্পিড বোট বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সারাবাংলা/এমআই

করোনা বাড়ি ফেরা মানুষ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর