বিকেল ৫ টার পর হিলি সীমান্ত দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ

হিলি: শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টার পর থেকে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি বা ভারতীয় কোনো যাত্রী পার হতে পারবেনা। এই নির্দেশনার কারণে সময়ের আগেই ইমিগ্রেশন পার হতে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে গেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রী পারাপারে সরকারি কোনো নির্দেশনা না আসলেও মৌখিকভাবে যাত্রী পারাপার বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে হিলির ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এদিকে, ইমিগ্রেশন বন্ধের কারণে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা জারির কথা শুনে তাড়াতাড়ি ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করে ভারত যেতে চান তারা।

এ বিষয়ে হিলি ইমিগ্রেশন ওসি সেকেন্দার আলী জানান, আমরা সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে জানিয়েছে শুক্রবার বিকেল ৫টার পর থেকে বাংলাদেশি কোনো নাগরিককে তারা ইমিগ্রেশন দেবে না।

গত ১২ মার্চ করোনাভাইরাসের কারণে কয়েকটি বিশেষ ক্যাটাগরির বাইরে বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের ভিসা স্থগিত করেছে ভারত সরকার।

এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের ঘটনা তীব্রভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে সব ভিসা স্থগিত করা হবে। এটি কার্যকর হবে ১৩ মার্চ রাত ১২টা থেকে।

তবে কূটনৈতিক, অফিসিয়াল, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, চাকরি ও প্রকল্প ভিসা এই আদেশের বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটি। একই সময়ের জন্য ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (ওসিআই) কার্ডধারীদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধাও স্থগিত করেছে দেশটির সরকার।

ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এক কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ২৮২ বিদেশি ভারত ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে প্রথম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৭৬ হাজার। কেবল ২০১৯ সালে বাংলাদেশিদের জন্য ১৫ লাখ ভিসা দিয়েছিল প্রতিবেশী দেশটি।

এই সময়ে যদি কোনো বিদেশি নাগরিককে ’বাধ্যতামূলকভাবে’ ভারতে যেতে হয়, তাহলে তাকে স্থানীয় ভারতীয় মিশনে যোগাযোগ করতে বলেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ঢাকায় ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বিজনেস, কনফারেন্স, কূটনৈতিক, চাকরি, জরুরি, এন্ট্রি, সাংবাদিক, মেডিকেল, মিশনারি, দুই মাসের মধ্যে পুনঃপ্রবেশ, গবেষণা, শিক্ষার্থী, পর্যটক ও ট্রানজিট ভিসা দিয়ে থাকে ভারত।

এর আগে করোনা ভাইরাসে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত চীন, ইতালি, ইরান, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে ভারত। পরে এই তালিকায় যুক্ত হয় ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানির নাম।

এদিকে, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কালাবুরাগিতে করোনা আক্রান্ত একজন মারা গেছে। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ওই ৭৬ বছর বয়সী পুরুষের মৃত্যু হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) স্থানীয় সময় মধ্যরাতের পর এই তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি. শ্রীরামুলু।

ভারতীয় ইমিগ্রেশন হিলি সীমান্ত