দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১২ মার্চ ২০২০ ১১:২৯ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ১৬:৩৩
ঢাকা: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার এক ধাপ পূরণ হলো। উদ্বোধন করা হলো ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের (এন-৮) যাত্রাবাড়ি-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে (১২ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দিয়ে যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া পর্যন্ত সড়ক চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হলে এই এক্সপ্রেসওয়েতে যুক্ত হবে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পথ।
যাত্রাবাড়ী-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভিন্ন ভিন্ন গাড়ির জন্য রয়েছে আলাদা লেন। বারবার রোড ক্রসিং এড়াতে রয়েছে ফ্লাইওভার আর আন্ডারপাস। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল এই হাইওয়ে এক্সপ্রেস। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ট্রাফিক সিস্টেম।
পাশাপাশি ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ২৫টি সেতু ও তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু (শাহ আমানত সেতু) নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬-লেন বিশিষ্ট এপ্রোচ সড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতিরর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে মার্চ মাসেই ছোট বোন শেখ রেহানাসহ সড়কপথে টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সড়কটি নির্মাণে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এতে ৪৫টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, ৪টি বড় সেতু, ১৫টি ছোট সেতু, ৫টি ফ্লাইওভার, ৩টি ইন্টারচেন্জ, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েটি এশিয়ান হাইওয়ের করিডোর-১ এর অংশ।যাত্রাবাড়ী-মাওয়া এবং পাচ্চর-ভাঙ্গা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩ মে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
https://www.facebook.com/Sarabangla.net/videos/204501100795904/