চবিতে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ, হল ভাংচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
১২ মার্চ ২০২০ ০৯:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে হল ভাংচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্যার এ এফ রহমান হল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১১ মার্চ) এ এফ রহমান হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক মো. ফারুক হোসেনকে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই হলের প্রভোস্ট এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, হলের আবাসিক শিক্ষক সুদীপ্ত শর্মা, মো. মহিউদ্দীন ও কাজী রবিউল ইসলাম।
হলের প্রভোস্ট কুদ্দুসী বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর হল ভাংচুরের ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গত সোমবার (২ মার্চ) রাতে আলাওল হলের ২৩৪ নম্বর রুমের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক সংগঠন ‘বিজয়’ ও ‘কনকর্ড’ গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পরে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাতে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিজয় গ্রুপের বোরহান আবির হাসান নামের এক কর্মীকে মারধর করে কনকর্ড গ্রুপের নেতাকর্মীরা ।
পরে বুধবার (৪ মার্চ) বিকেলে কনকর্ড গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ জালাল হলে ও বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় দুইজন আহত হন। এছাড়াও এক বহিরাগতসহ অন্তত চারজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এই ঘটনার জের ধরে বুধবার (৪ মার্চ) গভীর রাতে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা স্যার এ এফ রহমান হলে থাকা বিজয় গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়। পাশাপাশি হলের দরজা জানালা ভাংচুর করা হয়। এসময় সন্দেজনকভাবে অন্তত ৫৭ জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ৫০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের হাটহাজারি থানায় পাঠানো হয়।
পরে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর বিবাদমান গ্রুপগুলোকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈঠকে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সংঘর্ষে জড়াবেনা প্রতিশ্রুতি দেয় ছাত্রলীগ।
সিক্সটি নাইন ও কনকর্ড গ্রুপ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিজয় গ্রুপ সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।