এগিয়ে বাইডেন, দ্বিধাবিভক্তির শঙ্কা ডেমোক্র্যাট শিবিরে
৫ মার্চ ২০২০ ১৫:১১ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২০ ১৬:০৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বছরের ৩ নভেম্বরে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখোমুখি হতে লড়ছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন ও বার্নি স্যান্ডার্স। সুপার টুইসডে’র ফলাফলে নাটকীয়ভাবে এগিয়ে গেলেন বাইডেন।
সেইসঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের ঘাড়ে চেপে বসেছে ২০১৬ সালে ভোট বিপর্যয় আশঙ্কার ভূত। সেবার হিলারি মনোনয়ন পাওয়ায় অনেক কট্টর স্যান্ডার্স সমর্থকও ভোটকেন্দ্রে যাননি। সেই সুবিধা লুটেছেন রিপাবলিকান ট্রাম্প। প্রশ্ন উঠেছে, এবারও কি তেমন কিছু ঘটবে নাকি? খবর সিএনএনের।
এ পর্যন্ত জো বাইডেনের ডেলিগেট সমর্থন ৫৬৬টি, বার্নি স্যান্ডার্স এর ৫০১টি, এলিজাবেথ ওয়ারেনের ৬১টি। মনোনয়ন দূর থেকে ছিটকে পড়া বিলিওনিয়ার মাইকেল ব্লুমবার্গ (৫৩টি), পেট বুজেজাজ (২৬টি), অ্যামি ক্লুবেচার (৭টি) সমর্থন জানিয়েছেন জো বাইডেনকে। ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জয় পেতে হলে বার্নি বা বাইডেনের পেতে হবে ১৯৯১ ডেলিগেটের সমর্থন।
এগিয়ে থাকলেও জো বাইডেন নিশ্চিতভাবে মনোনয়ন পাচ্ছেন এমনটা বলা যাবে না। কারণ বার্নি স্যান্ডার্স সহজে হাল ছাড়বেন না বলেই বুঝ যাচ্ছে। ডেলিগেট সমৃদ্ধ ক্যালিফোর্নিয়াতেও তিনি এগিয়ে। বাইডেন জিতেছেন ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, আলাবামা, টেনেসি, ওকলাহোমা, আরকানাস, মিনেসোটা, ম্যাসাচুসেটাস, টেক্সাস ও মেইনে। অপরদিকে স্যান্ডার্স জিতলেন, ভারমন্ট, কলোরাডো, উটাহ’তে। সুপার টুইসডের ভোটে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন ১৩৫৭ ডেলিগেট যা মোট ডেলিগেটের ৩৪ শতাংশ। মোট ডেলিগেট সংখ্যা ২৪৭২।
বার্নি স্যান্ডার্স তরুণ প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। যারা যুক্তরাষ্ট্রে সত্যি বড় ধরনের পরিবর্তন চাচ্ছেন। তবে অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের দুয়ারে হোঁচট খাচ্ছেন তিনি। অপরদিকে, দলের অভ্যন্তরে সমর্থন পাচ্ছেন জো বাইডেন। সুপার টুইসডেতে খুব বেশি ব্যবধানে এগিয়ে না থাকলেও বাদবাকি রাজ্যগুলোর আসন্ন ভোটে অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিসিসিপি, ওহিওতে বাইডেন বেশ নির্ভার থাকবেন বলেই ভাবা হচ্ছে। তবে বার্নি পুনরায় লড়াইয়ে ফিরলে তা হবে বিস্ময়কর!