Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চমেকে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি, আহত ৮


২ মার্চ ২০২০ ১৭:২৪ | আপডেট: ২ মার্চ ২০২০ ২১:২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুলিশ ও অধ্যক্ষের সামনে একপক্ষ আরেকপক্ষের ওপর হামলা করে। এরপর উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর একটার দিকে এই মারামারির ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের একক আধিপত্যের বিপরীতে সম্প্রতি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী পরিচয়ে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ ক্যাম্পাসে সক্রিয় হয়েছে। মূলত দু’পক্ষের নেতাকর্মীরাই মারামারিতে জড়িয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

নিজেকে উপমন্ত্রী নওফেলের কর্মী পরিচয় দিয়ে চমেকের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রিয়াজুল ইসলাম জয় সারাবাংলাকে জানান, রোববার দুপুরে হাসপাতাল ভবনে ক্লাসে যাবার সময় জয়সহ দুই ছাত্রকে চমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন ইসলাম শিমুল থাপ্পড় মারেন। সেখানে সভাপতি হাবিবুর রহমানও ছিলেন। থাপ্পড়ের কারণ জানতে চাইলে শিমুল বলেন, সালাম দিস নাই, সেজন্য মেরেছি। এখন থেকে দেখলে সুন্দর করে সালাম দিবি। তারা বিষয়টি মৌখিকভাবে চমেকের অধ্যক্ষ শামীম হাসানকে জানান।

জয় বলেন, আজ (সোমবার) আমরা অধ্যক্ষ স্যারের কাছে ছাত্রাবাস সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। আমরা সেটা জমা দিয়ে বের হওয়ার পর একাডেমিক বিল্ডিংয়ের নিচে আমাদের ওপর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আবারও হামলা হয়। খবর পেয়ে অধ্যক্ষ স্যার পুলিশ নিয়ে সেখানে যান। কিন্তু তাদের সামনেই আমাদের মারধর করা হয়েছে। এমনকি তারা অধ্যক্ষ স্যারের দিকেও তেড়ে যান। আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মেয়র নাছিরের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘জয়সহ কয়েকটা ছেলে বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে, হলে যায়। উশৃঙ্খল আচরণ করে। এজন্য গতকাল (রোববার) তাকে ডেকে শাসন করেছিলাম বড় ভাই হিসেবে। বলেছি, ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল না করতে। তাকে আমি বা সেক্রেটারি কেউই থাপ্পড় মারিনি।’

‘তাদের আচরণ নিয়ে আমরা ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ স্যারকে একটা অভিযোগ দিই। অধ্যক্ষ স্যার তাদের ডেকেছিলেন। তারা কথা বলে বের হওয়ার সময় আমাদের জুনিয়র ছেলেদের মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’-বলেন হাবিবুর।

হাবিবুর জানান, তাদের গ্রুপের আহত তিন ছাত্রলীগ নেতাকে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চমেক অধ্যক্ষ শামীম হাসান জানান, উভয়পক্ষ আলাদাভাবে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। পরে কার্যালয় থেকে বের হয়ে নিচে দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে তাদের থামাতে চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদশর্ক জহিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই পক্ষ মারামারি করেছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। ক্যাম্পাসে পুলিশ সতর্ক আছে।’

এই ঘটনায় চমেক কতৃর্পক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করার জন্য অধ্যক্ষ আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

চমেক ছাত্রলীগ টপ নিউজ দুপক্ষে মারামারি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর