Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিশু রুশদি নেই, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন বাবা-মা


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৪৬ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫১

বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশু রুশদি। সংগৃহিত এই ছবিটি সবশেষ ভালোবাসা দিবসের দিন তোলা।

ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডের একটি আবাসিক ভবনের নিচ তলার গ্যারেজ থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ দুজনের মৃতদেহ সনাক্ত করা গেছে।

নিহতদের মধ্যে শিশুটির নাম রুশদি। বাবা শহিদুল কিরমানি রনি (৪০) ও মা জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫) এর সঙ্গে ভবনটির তিনতলায় বাস করতো সে।

নিহত আরেকজন হলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল কাদের লিটন। ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে থাকতেন তিনি।

এছাড়া নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শিশু রুশদির দাদা একেএম শহীদুল্লাহ তার নাতির মৃতদেহ শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘এটাই আমার নাতির লাশ। এছাড়া আর কোন শিশু সেখানে ছিলনা।’

মায়ের সঙ্গে রুশদি। ছবি: সংগৃহিত

একেএম শহিদুল্লাহ জানান, তার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে রনি বড়। দিলু রোডের ওই বাসার তিন তলায় থাকতেন পরিবার নিয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদি জেলার শিবপুর উপজেলায়। বিআইভিপি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আইসিএমএ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক হিসেবেও কাজ করতেন। তার স্ত্রী জান্নাত বেক্সিমকো ফার্মাসিউক্যাল লিমিটেড এর হিসাবরক্ষক ছিলেন।

শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, দগ্ধ দুজনের অবস্থাই আশংকাজনক। এদের মধ্যে জান্নাতুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ ও রনির শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পুড়ে গেছে শ্বাসনালীও। তাদেরকে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

নিহত আব্দুল কাদের লিটন

এছাড়া লিটনের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তার শ্যালক জহির আলম। তিনি জানান, ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ক্লাসিক ফ্যাশন ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি বায়িং হাউজে অফিস সহকারী ছিলেন। তিনি ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে থাকতেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন তার স্ত্রী।

এ ছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছেন তিনজন। এরা হলেন সুমাইয়া আক্তার (৩২), তার ছেলে মাহাদী (৯), মাহমুদুল হাসান (৯ মাস)।

ভবনের বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, তারা পাঁচ তলায় থাকেন। ভোরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে ভবন থেকে বের করেন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ধোঁয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ফায়ার সদরদপ্তরের ডিউটি অফিসার মো. এরশাদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাসার নিচতলার গ্যারেজে প্রথমে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

টপ নিউজ দিলুরোডে আগুন ফায়ার সার্ভিস বার্ন ইউনিট শিশু রুশদি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর