Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৭ মার্চ থেকে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে সুদ ফের ১১ দশমিক ২৮


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪৮ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:২৫

ঢাকা : ১৭ মার্চ থেকে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদ ফের ১১ দশমিক ২৮ এ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ডাকঘর অটোমেশনের পর সঞ্চয় স্কিম ২ লাখের বেশি হলেও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে টিআইএন নম্বর বাধ্যতামূলক করা হবে। আর সেদিন থেকে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার আগের মতো ১১ দশমিক ২৮ দেওয়া হবে। আর এ সিদ্ধান্ত প্রথম পর্যায়ে জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হবে, পরে সে সুবিধা পাবেন উপজেলা পর্যায়ের গ্রাহকরা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র ক্ষেত্রে অটোমেশন শেষ হয়েছে। তাই এখানে সেভিংস এর অপব্যবহারের সুযোগ নেই। কিন্তু পোস্ট অফিসে অটোমেশন নেই। এখানে অপব্যবহারের সুযোগ আছে। এজন্য সুদের হার বেশি হওয়ায় অনেক ধনী এখানে এসেছে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য এ স্কিমে সুদ হার কমানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘ডাকঘর স্কিমে সুদের হার ১১ দশমিক ২ শতাংশে ফিরে যাবে পোস্ট অফিসের অটোমেশন হয়ে গেলে। আর আগামী ১৭ মার্চ এর মধ্যে অটোমেশন হয়ে যাবে।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ডাকঘর সঞ্চয় ব্যবহার করে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকিং অটোমেশন করাতে কেউ লিমিট ক্রস করতে পারবে না। পেনশনভোগীদের জন্য পরিমাণ বেশি করা হয়েছে। পোস্ট অফিসে বিদ্যমান আইনে রয়েছে ৩০ লাখ, যা অনেক বেশি। সেখানে সুদের হার ১১ দশমিক ২ শতাংশ রাখা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদ হার কমনোর কারণ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যখন দেখলাম সবাই চলে যাচ্ছে পোস্ট অফিসে, বন্ধ করব কিভাবে, বন্ধ করতে হলে বলতে হবে ইন্টারেস্ট নাই। যদি একবার কিনে ফেলে তাহলে তো করার কিছু নাই। অটোমেশন শেষ হলে এটার জন্য যা প্রয়োজ্য তা পাবেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে ৩০ লাখ যা ৩০ লাখই থাকবে এবং ওখানে যদি ইন্টারেস্ট ১১ পার্সেন্ট থাকে এখানে ১১ পার্সেন্ট থাকবে না কেন। এরা কম পাবে কেন। ১৭ মার্চ অটোমেশন শেষ হলে আগের সুদের হারে চলে যাবে। অটোমেশনের কাজ শেষ হলেই এ ঘোষণা দিতে পারব, আশা করছি এ কাজ করতে পারব’ বলেন অর্থমন্ত্রী।

দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা হয়েছিল সেসব জায়গায় শৃঙ্খলা নিয়ে আসা হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অটোমেশন সব জায়গায় করে ফেলতে পারলে, আগে থেকে নীতি নির্ধারণ করলে অনেক ভালো কাজ হতো। ডাকঘর অটোমেশন হওয়ার পর গ্রাহকদের টিআইএন ও আইডি নম্বর নেওয়া হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানতে চাই কারা কিনে যাতে করে অপব্যাবহার না হয়। পোস্ট অফিসে যে ৩০ লাখ আছে সেখানে লাগবে। তবে প্রথম ২ লাখ পর্যন্ত আমরা কিছু চাইব না এদেরকে কোনোরকম টিআইএন জমা দিতে হবে না কিন্তু ইন্টারেস্ট ১১ প্লাস পাবে। ২ লাখ পর্যন্ত অনেকে আছে তারা সই করতে পারে না এতটুকু তাদের দিয়ে হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো যাদের জন্য সঞ্চপত্র চালু হল তারাই পাবে, বেশি মিসইউজ হচ্ছিল বলে এভাবে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে।’

ব্যাংকিং কমিশন গঠনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন ব্যাংক কমিশন করব অবশ্যই করবো, তবে কবে করব সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক পরিপত্রে ডাকঘরে যে সঞ্চয় ব্যাংক রয়েছে সেই ব্যাংকের সুদের হার সরকারি ব্যাংকের সুদের হারের সমপর্যায়ে নিয়ে আসা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ডাকঘরে চারভাবে টাকা রাখা যায়। ডাকঘর থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাব খোলা যায়। আবার ডাক জীবনবীমাও করা যায়। এবার সুদের হার কমেছে ডাকঘরের সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাবে। সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদের হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম সুদ হার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর