বেসরকারি হজ প্যাকেজ ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৫৬ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:০৬
ঢাকা: এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য তিনটি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য একটি প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সরকারি প্যাকেজগুলোর খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য প্যাকেজের খরচ ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হজ প্যাকেজ ঘোষণার সুযোগ দেওয়া হয়েছে হজ এজেন্সিগুলোকে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ’র উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও সেওদি আরবের মধ্যে এ বছরের দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সই হয়।
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনসহ মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
হজযাত্রীর বিমান ভাড়া, সৌদি আরবের বাড়ি ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, মুয়াল্লিম ফি, জমজমের পানি, খাবার খরচ ও অন্যান্য ফি হিসাব করে ২০২০ সালের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য তিনটি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার অধীন এজেন্সিগুলোর জন্য একটি হজ প্যাকেজের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১-এর খরচ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ছয় হাজার পাঁচশ টাকা বেশি; প্যাকেজ-২-এর খরচ তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ১৬ হাজার টাকা বেশি; আর সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো তিন লাখ ১৫ হাজার টাকার নতুন প্যাকেজ-৩ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য তিন লাখ ৫৮ হাজার টাকার প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হজ এজেন্সিগুলো বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিমানের টিকেটের টাকা এজেন্সি ব্যাংক থেকে তুলতে পারবে না। হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী সরাসরি তা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সকে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া সৌদি আরবের বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহনের খরচ আন্তর্জাতিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানো ছাড়া এজেন্সিগুলো তুলতে পারবে না।
এ বছর ‘রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ’-এর আওতায় বাংলাদেশের শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকাতেই করা হবে বলে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
হজ এজেন্সিগুলোর ক্ষেত্রে হজযাত্রীর সংখ্যাও সীমিত করা হয়েছে। কোনো এজেন্সিকে কমপক্ষে একশ জন হজযাত্রী পাঠাতে হবে এবং কোনো এজেন্সিই তিনশ জনের বেশি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না। হজ এজেন্সি ছাড়া অন্য কোনো এজেন্সি হজযাত্রার টিকিট বিক্রি করতে পারবে না। আবার কোনো হজ এজেন্সিও তিনশ’র বেশি টিকিট বিক্রি করতে পারবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হজ পালনের জন্য যারা সৌদি আরব যাবেন, তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। প্রতি ৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন করে গাইড নিয়োগ করা হবে। হজযাত্রীদের কুরবানির অর্থ ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পরামর্শ দিয়েছে সৌদি সরকার। এ জন্য হজযাত্রীকে নির্ধারিত প্যাকেজের চেয়ে বাড়তি ৫২৫ সৌদি রিয়েল বা এর সমপরিমাণ ১২ হাজার ৭৫ টাকা সঙ্গে নিতে হবে।
ফাইল ছবি