Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট


২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৫৩ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:১৩

ঢাকা: ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারা দুটিকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের চারটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির।

পরে তিনি জানান, আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রথমত, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের চারটি ধারা সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা‘কে খর্ব করে। দ্বিতীয়ত, আদালতের প্রতিষ্ঠিত নীতি হলো- অপরাধের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করতে হয়। কিন্তু এসব ধারাসমূহে সুস্পষ্টভাবে অপরাধ সমূহকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ফলে এসব ধারার অপব্যবহারের মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তিকে হয়রানি করার সুযোগ রয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারায় আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ সম্পর্কে বলা হয়েছে। ৩১ ধারায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

২৫ ধারা:

(১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে,- (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, বা

বিজ্ঞাপন

(খ) রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করিবার বা বিভ্রান্তি ছড়াইবার, বা তদুদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ, প্রচার করা বা করিতে সহায়তা করা,

তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরুপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩ (তিন) লাক টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

৩১ ধারা: (১) যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যাহা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরুপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বছর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অপরাধ দ্বিতীয় বার বা পুনঃপুন সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১০ (দশ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

বিজ্ঞাপন

টপ নিউজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর