‘ইউরোপ-আমেরিকায় যা সম্ভব না, সেটিই করে দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী’
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৫৮ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:০৬
ঢাকা: ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের চেয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন— সে বিষয়ে আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, এবার তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশে যাদের জায়গা-জমি নেই, যাদের আবাসনের ব্যবস্থা নেই, তিনি সবাইকেই জায়গা-জমি দেবেন এবং আবাসনের ব্যবস্থা করে দেবেন। এটা আমেরিকায় সম্ভব না, গোটা ইউরোপেও সম্ভব না। এসব এলাকার সরকারপ্রধানদের চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকায় কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হতে পারেন, এটা কল্পনা করতেও ভয় লাগে। কিন্তু তিনি সেটা ডেলিভার করবেন, সেই বিশ্বাস আমাদের রাখতে হবে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) নতুন কমিটির অভিষেক ও উন্নয়নের গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, তার (প্রধানমন্ত্রী) হাত ধরেই ২০৩০-এর স্বপ্ন পূরণ হবে এবং ২০৪১-এর স্বপ্নও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যত চাহিদা, সেগুলো আমরা মোকাবিলা করতে পারব। আমরা বিশ্বাস করি, এ কাজগুলো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের সম্পর্কে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সেন্টার ফর ইকোনমিক্স রিসার্চ এরই মধ্যে বলেছে, ২০২৪ সালের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের ওপরে যাব। আমরা তাদের এ অনুমান প্রমাণ করব।
ডিজেএফবি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সংগঠন অনেক সুন্দরভাবে কাজ করুক, দেশের মানুষকে বিকশিত করুক— এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করেন, তারা উন্নয়ন চান। শুধু কথার নয়, তারা দৃশ্যমান উন্নয়ন চান। তারা চান, সেতু-কালভার্টগুলো অবিলম্বে তৈরি হোক, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে যাক। ভাতা বা অবলম্বন, পরিষ্কার পানির স্বপ্ন— এগুলোই তারা চান।’
ডিজেএফবি সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন। আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবেন। আমরা সবাই চাই, তথ্যপ্রবাহ অবাধ হোক। এতে আমাদের লাভ, শুধু আপনাদের লাভ না। আপনারা যে ক’দিন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, আমি বলছি, সম্পূর্ণ শতভাগ ও অবাধ সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
ডিজেএফবির সভাপতি এফ এইচ এম হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত সিনহা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তররের সম্পাদক সাইফুল আলম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সদস্য (সচিব) আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বেগম ফাতেমা ইয়াসমিন ও এএফপির ব্যুরো চীফ শফিকুল আলম। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও জাকির হোসেন আকন্দ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উন্নয়ন টপ নিউজ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা