Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শহিদ মিনারের মূল বেদীতে ‘সেলফিবাজি’, বিশৃঙ্খলা


২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৩৬ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৪০

বাঙালি জাতিসত্তার গর্ব ও সম্মানের প্রতীক শহিদ মিনার। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয় শহিদ মিনারের বেদীতে। শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকেই যথেষ্ট সচেতন না হওয়ায় এমন কিছু করে বসেন যাতে দিবসটির ভাব-গাম্ভীর্য নষ্ট হয়। এবারও শহিদ মিনারের মূল বেদীতে দেখা গিয়েছে ‘সেলফিবাজি’ ও বিশৃঙ্খলা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নামে হাজারো মানুষের ঢল। একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ফুল দেওয়ার পর সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের উপস্থিতি দেখা যায়। তখনই শৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটে।

বিজ্ঞাপন

কে, কার আগে ফুল দিবে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা মূল বেদীতে উঠে পড়েন। ও তাদের সেলফি তুলতে দেখা যায়। বিএনসিসি, স্কাউট সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও সহকারী প্রক্টররা এ সময় নির্বিকার দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, শহিদ মিনার জাতির কাছে সম্মানের প্রতীক। মূল বেদীতে উঠে সেলফি তোলা মানে শহিদ মিনারের অবমাননা। আর শহিদে মিনারের অবমাননা শহিদদের অবমাননার শামিল। শহিদ মিনারে এসে কীভাবে ফুল দিতে হয় এবং শহিদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা বিষয়গুলো জেনে শহিদ মিনারে আসা উচিত।

প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে জানান, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফুল দিয়েছে। ওইভাবে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। তিনি বলেন, শহিদ মিনার আমাদের সম্মানের প্রতীক। মূল বেদী সেলফি তোলার জায়গা না। প্রত্যেককে যার যার জায়গা থেকে সচেতন হয়ে ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শহিদ মিনার সেলফিবাজি