২৫ তম স্প্যান বসছে, দৃশ্যমান হবে পৌনে চার কিলোমিটার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫৪
পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকা থেকে: পদ্মাসেতুর ২৫তম স্প্যান ২৯ ও ৩০ নম্বর খুঁটিতে বসানো হবে দুপুরের মধ্যে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাওয়া প্রান্ত থেকে স্প্যান নিয়ে জাজিরার দিকে রওয়ানা হয়েছে ক্রেন। দিনে দিনে এটি বসানো শেষ করার পরিকল্পনা সেতু নির্মাণ কারী চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সেতুর ২৫তম স্প্যানটি নদীর চ্যানেল ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেতুতে ২৫তম স্প্যান বসানোর পর আর বাকি থাকবে ১৬টি স্প্যান বসানো।
মাওয়া প্রান্তে ট্রাস্ট ফেব্রিকেশন ইয়ার্ডের ভেতরে প্রস্তুত রয়েছে আরও ২টি। অ্যাসেম্বলিং করা হয়েছে আরো ৩টি। বাকিগুলো ওয়েল্ডিং পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া, আরো দুটি স্থানের যন্ত্রাংশ চীন থেকে দেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে, বাকি থাকা সেতুর চারটি পিয়ারের কাজের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। সবশেষ ড্রাইভিং হওয়া ২৬ নম্বর পিয়ারের কাজ এপ্রিলেই শেষ হবে।
৪২টি পিয়ারের মধ্যে বাকি রয়েছে ১০, ১১, ২৬, ২৭ নম্বর পিয়ার। চলতি মাসে ১০ এবং ১১ নম্বরের কাজও শেষ হবে।
৮ নম্বর খুঁটির কাজ শেষে এখন ক্যাপ ঢালাই চলছে। সিঙ্গেল ক্যাপ বসেছে এই ৮ নম্বরে। সেতুর ৭, ১৩, ১৯, ২৫, ৩১ ও ৩৭ নম্বর খুঁটি ছাড়া বাকি সবগুলোই সিঙ্গেল ক্যাপে।
১৩ নম্বর খুঁটি থেকে ১৯ নম্বর খুঁটিতে বসে গেছে ৬টি স্প্যান। আর জাজিরা প্রান্তে ৪২ নম্বর খুঁটি থেকে ৩৮ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত রোড ওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এ প্রান্তে ৩০ থেকে ৪২ পর্যন্ত একাধারে ১২টি স্প্যান বসানোর পর ১৮০০ মিটার স্প্যান দৃশ্যমান হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পদ্মাসেতুর ২৪টি স্প্যানে ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান।
এদিকে, জাজিরা প্রান্তে দুটি পিয়ার ২৬ ও ২৭ কাজ বাকি আছে। আর মাওয়া প্রান্তে ৬, ৭, ৮, ৯ চারটি পিলারের কাজ শেষ। বাকি রয়েছে ১০ ও ১১। চলতি মাসে ১১ নম্বর পিলারে ক্যাপ বসবে। এরপর আগামী মাসে ১০ নম্বর পিলারে ক্যাপ বসানো হবে।
মাওয়া প্রান্তে ১৩ থেকে ১৯ নম্বর পিলারে রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্লাব বসানো চলছে।
৪২ খুঁটি ও ৪১ স্প্যানে গড়ে তোলা হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। পদ্মাসেতুর কাজ বাকি বলতে এখন ১৬ স্প্যান এবং চারটি খুঁটি। এছাড়া উপরে রোড ওয়ে স্ল্যাব নিচে রেলপথ সমানতালে এগোচ্ছে। লক্ষ্য আগামী বছরের জুনে সেতু চালু করা। সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য, এপ্রিলেই শেষ হবে বাকি পিলারের কাজ আর জুলাই মাসে শেষ হবে সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ। তখনই দেখা যাবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পুরোপুরি পদ্মাসেতু। যার একদিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া অন্যদিকে শরীয়তপুরের জাজিরা। মাঝখানে কয়েকটি খুটি মাদারীপুর জেলার মধ্যে পড়েছে।