স্মৃতির বেদীতে জাগ্রত জনতা [ফটো স্টোরি]
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৪০ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:২০
পূর্বপুরুষের সব ঋণ শোধ করা যায় না। শুধু সে ঋণকে অবনত মস্তকে স্মরণ করে যেতে হয়। পূর্বপুরুষের সে অর্জনকে ধারণ করতে হয় মনে-মননে, আচারে-আচরণে। ৬৮ বছর আগের এমনই এক অর্জন দিয়ে গোটা বাঙালি জাতিকে ঋণী করে রেখে গেছেন সালাম-বরকত-রফিক-জব্বাররা। শাসকগোষ্ঠী যখন মায়ের ভাষা, মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে মত্ত, তখন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে সেই ভাষার অধিকার ছিনিয়ে এনেছিলেন তারা। অগ্রজদের সে অর্জনকে স্মরণ করতে তাই কুণ্ঠা করে না জাতি। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেই ভাষাশহিদদের স্মরণে নির্মিত যে স্মৃতির মিনার, তার বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন প্রথম প্রহর থেকেই।
এ বছরের একুশে ফেব্রুয়ারিতেও সে চিত্রের ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম প্রহরে ঘড়ির কাঁটা ঠিক ১২টা স্পর্শ করতেই ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একে একে জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতাসহ মন্ত্রি-সংসদ সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান শহিদ বেদীতে। এরপর একে একে রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল নামে সেই শহিদ মিনারে।
রাত যত বাড়ে, জনতার ভিড়ও যেন তত বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। প্রভাতফেরির সেই মিছিল যেন শেষ হয় না। একুশের প্রভাতফেরি থেকে ছবি তুলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান
একুশে একুশে ফেব্রুয়ারি একুশের প্রথম প্রহর টপ নিউজ প্রভাতফেরি শহিদ মিনার