মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৌলভী নুরুল ইসলামের জামিন

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক মৌলভী নুরুল ইসলামকে (৬০) জামিন দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রিজিয়া সুলাতানা চমন।

পরে আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘আমার মক্কেল অসু্স্থ থাকায় জামিন চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে জামিন জামিন দিয়েছেন।’

ওই আইনজীবী জানান, আসামি মৌলভী নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজড হয়ে আছেন। এ কারণে জেলখানায় রেখে তার চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আদালত আসামিকে জামিন দিয়েছেন।

এ মামলায় আসামির সংখ্যা ছিল ১৯ জন। তদন্ত চলাকালীন দুই আসামি মারা যান। এর মধ্যে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে ১৭ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এ সব আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নি-সংযোগ, ধর্মান্তর ও দেশান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৩ ঘটনায় ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ জনকে হত্যাসহ নারী নির্যাতন এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অনেক ঘটনা রয়েছে। ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তদন্ত চলে।

এ মামলার ১৭ আসামির মধ্যে জামিনে থাকা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ রশিদ মিয়াসহ গ্রেফতার ছিলেন পাঁচজন। অন্য চারজন হলেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও এলডিপি নেতা সালামত উল্লাহ খান, নূরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া ও ওসমান গণি। এদের মধ্যে রশিদ মিয়া মারা গেছেন।

অন্যদিকে পলাতক ১২ আসামি হলেন মৌলভী মোহাম্মাদ জাকারিয়া শিকদার (৭৮), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মোহাম্মদ সাইফুল ওরফে সাবুল (৬৩), মমতাজ আহমদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী রমিজ হাসান (৭৩), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মো. জাকারিয়া (৫৮), মৌলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)।

এ মামলায় ১২১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২২ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ মৌলভী মৌলভী নুরুল ইসলাম