আমার গানের বেশিরভাগ রিমিক্স ’বিরক্তিকর’: এ আর রহমান
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:০১ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:২৬
সংগীত পরিচালনা ও সুরকার হিসেবে এ আর রহমান প্রায় দেবতুল্য। ভারতের মোজার্টখ্যাত এ আর রহমান জিতেছেন ২টি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস, ১টি বাফটা, ১টি গোল্ডেন গ্লোব, ১টি গ্র্যামি ও ৬টি জাতীয় পুরস্কার। গানের জগতে এমন বিশ্বনন্দিত আইকনও জানিয়েছেন, রিমিক্স গানে তার আস্থা নেই। তার গানে অন্যদের করা অধিকাংশ রিমিক্সই ‘সর্বনাশা’ ও ’বিরক্তিকর’।
দ্য হিন্দুস্থান টাইমসে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এ আর রহমান বলিউডে গানের ধাঁচ, রিমিক্স গানের প্রবণতা ও তার কাজ নিয়ে কথা বলেন। সেখানেই তিনি তার প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।
এ আর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সম্প্রতি খুব বেশি হিন্দি ছবিতে তার কাজ দেখা যাচ্ছে না। তিনি সচেতনভাবে দূরে রইছেন কি না?
জবাবে এই সংগীত পণ্ডিত জানান, তিনি তার ব্যক্তিগত প্রোডাকশন, স্টুডিও নির্মাণ ও সন্তানদের সংগীত শিখিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তবে পাশাপাশি তিনি ৯৯ সংস, দিল বেচারায় কাজ করছেন। এছাড়া কাজ করছেন কিছু তামিল চলচ্চিত্রে।
বর্তমান ডিজিটাল ভুবন কীভাবে সংগীতের গতিধারা বদলে গেছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে এ আর রহমান বলেন, ”এখন আর কোনো গেটকিপার নেই। যেসব ছেলেমেয়েরা ভালো করছে তারা সামনে চলে আসতে পারছে। কেউ অভিযোগ তুলতে পারছে না ‘ওহ। সে ভালো করার পরও কেউ তার দিকে নজর দিচ্ছে না।”
তবে কোনো ধরা-বাঁধায় নারাজ তিনি। ‘কোনো একটি খাবারের ডিশ আপনার ভালো লাগলে যদি ভেবে থাকেন সকালে, দুপুরে ও রাতের বেলা শুধু এটিই খাবেন। তাহলে তা বিরক্তিকর,’ বলেন এই সংগীতজ্ঞ।
বলিউডকে শাসন করছে রিমিক্স গান। এ আর রহমানেরও কিছু গানও পুনরায় গাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন তিনি।
এ আর রহমান বলেন, ‘ওকে জানু’ ছবির দ্য হাম্মা সং ছাড়া আমার গানের করা বাকি রিমিক্সগুলো ভালো লাগেনি। এছাড়া কিছু কিছু ছিল ‘সর্বনাশা’ ও ’বিরক্তিকর। কোম্পানিগুলোকে বলেছি, আপনারা এসবের পক্ষে কথা বলতে আমাকে জোর করছেন কিন্তু শ্রোতারা আমাকে নিয়ে ট্রল করতে শুরু করবে। আমার মনে হয় সবাই বুঝতে পারছে গানে ফাস্ট ফুডের দোকানের ঠিকানা নয় বরং ভালোবাসা প্রয়োজন।
গানের মার্কেটিং বলিউডে ভূমিকা রাখছে বলেও মন্তব্য করেন এই সংগীত জাদুকর। এ কারণে খুব ভালো গানের ৩০ হাজার কিন্তু মান-সম্পন্ন না হলেও কোনো গান ৫০ কোটি ভিউজ পায় বলে জানান তিনি।
এ আর রহমান আরও আশঙ্কা জানিয়ে বলেন, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে এখন ‘ভয়’ পেয়ে বসেছে। কেউ হয়ত সব পায় নয়ত সব হারায়। তাই ভালো কিছু করার স্বাচ্ছন্দ্য নষ্ট হয়ে গেছে।