Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শনিবার বিকেল পর্যন্ত হজ ক্যাম্পেই থাকবেন চীনফেরত বাংলাদেশিরা


১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৫২ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১২

ঢাকা: আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে গত ১ ফেব্রুয়ারি উহান থেকে ফেরত আসা যে বাংলাদেশিদের। তবে এরপর তাদের কীভাবে সেখান থেকে রিলিজ করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সে বিষয়টি নিয়েই কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে ভাইরাসটির নামকরণ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের নতুন নামকরণ করেছে কভিড-১৯ (COVID-19)।

অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে ১৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে দেশটির সরকার। এই ১৯ জনের মধ্যে ১০ জনই বাংলাদেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে দুইজন বাংলাদেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এই দুইজনের মধ্যে প্রথম যিনি শনাক্ত হয়েছেন দ্বিতীয় শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি তারই সংস্পর্শে ছিলেন। তারা দুইজনেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সিঙ্গাপুরে। সেখানে একজনকে রাখা হয়েছে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ও অপরজনকে রাখা হয়েছে সাধারণভাবে।’

যে দশজন বাংলাদেশিকে সিঙ্গাপুরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয় নি বলেও জানান এই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন চীনের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের প্রতি নজর দিচ্ছে বিশেষ কারণে। আর যেহেতু সেখানে বাংলাদেশিরা শনাক্ত হয়েছে তাই আমরা সেখানে বিশেষ নজর রাখছি। দেশটির সরকার তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে ও তারা নিয়মিতভাবে আমাদের দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদেরও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকছে।’

বিজ্ঞাপন

সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিষয়ে আলাদা কোনো নির্দেশনা দেওয়া প্রসঙ্গে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ‘এখনও আমরা আলাদা করে কোনো নির্দেশনা দিচ্ছি না। সব এয়ারলাইন্সকে স্ক্রিনিং এর আওতায় নিয়ে এসেছি আমরা। তারপরও বিশেষভাবে নজর দিচ্ছিলাম চীন থেকে আসা ফ্লাইটের বিষয়ে। এখন সিঙ্গাপুর থেকে আসা ফ্লাইটের বিষয়েও আমরা বিশেষ নজরদারি দিচ্ছি।’

সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে আসা ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, তারা যেন যথাসম্ভব নিজেদের ঘরের মধ্যে থাকেন সেই অনুরোধ জানাব। বিশেষ করে যদি কেউ করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন তবে তিনি যেন হোম বা সেলফ কোয়ারাইন্টাইনে থাকেন।

মৈত্রী এক্সপ্রেসে স্ক্রিনিং চালু করা হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, এতদিন স্থল-সমুদ্র এবং বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু মৈত্রী এক্সপ্রেস, যেটা সপ্তাহে ঢাকা এবং কলকাতাতে চারদিন যাতায়াত করে সেটি আসলে বেনাপোল বন্দর অতিক্রম করলেও সেখানে কোনো যাত্রী নামেন না। তারা নামেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে। গতকাল থেকে তাদেরকেও স্ক্রিনিং এর আওতায় আনা হয়েছে।

করোনাভাইরাস কোয়ারেনটাইন ইউনিট চীনফেরত বাংলাদেশি টপ নিউজ ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর