Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বসন্তের খোঁচায় চুন্নুকে ‘রঙকানা’ আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী


১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৪৫ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫৫

ঢাকা: সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিধেয় শাড়ির রংয়ে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনধ্বনি খুঁজতে গিয়ে কালারব্লাইন্ড তথা ‘রঙকানা’ আখ্যায়িত হলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।

বুধবার (১২ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

মুজিবুল হক সম্পূরক প্রশ্নের শুরুতে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ নেত্রীকে দেখে আজকে মনে হলো, বসন্ত আসছে খুব শিগগিরই।’

এ ছাড়াও সম্পূরক প্রশ্নের শুরুতে তিনি অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংসদ নেতাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা আছে। তাই আমি তাকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

এরপর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সান্ধ্যকালীন কোর্সে সম্পৃক্তার অভিযোগ তুলে ধরে সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ করতে আইন করার দাবি জানান।

সংসদ নেতা সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আপনার অনুমতি নিয়ে মাননীয় সংসদ সদস্য যে কথা বলেছেন, আমি তার উত্তর দিতে চাই। আমার মনে হয়, মাননীয় সংসদ সদস্যের জানা উচিত বসন্তের যে রঙ, সেটি কিন্তু বাসন্তী রঙ। আমি কিন্তু বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়িনি। এখানে অনেক রঙ আছে। কালোও আছে। আমার মনে হচ্ছে, মাননীয় সংসদ সদস্য বোধহয় কালার ব্লাইন্ড অর্থাৎ রঙকানা। জানি না, আজকে বাড়িতে গিয়ে ওনার কপাল কী আছে?’

বিজ্ঞাপন

এ সময় অধিবেশন কঞ্চে অবস্থিত সংসদ সদস্যসহ সকলে হাস্যরসে মেতে ওঠেন এবং সংসদ নেতার খোঁচাকে স্বাগত জানিয়ে টেবিল চাপড়ান।

সংসদ নেতা সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়ে জটিলতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, একসময় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এত বেশি সেশনজট ছিল যে কারণে অনেক সময় দুই শিফটে পড়ানো বা সান্ধ্যকালীন পড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন আমরা সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করছি। কলেজ তৈরি করছি। শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছি। আর এটি ঠিক যে, আমাদের সরকারি কলেজ-স্কুল বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা হিসাব নিয়েছিলাম, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকরা তাদের নিজের প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে যতটা আন্তরিক ওই স্যারেই যখন আবার বেসরকারি কোথাও ক্লাস নেন সেদিকে বেশি আন্তরিত হয়ে পড়ে। তাতে স্ব প্রতিষ্ঠান অর্থ্যাৎ যেগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে মাঝে মাঝে একটু সমস্যা হয়। সেগুলি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে আসছে। আর সান্ধ্যকালীন ক্লাশ নিয়ে যে সমস্যাটার কথা উল্লেখ হয়েছে, এটা মহামান্য রাষ্ট্রপতিও উল্লেখ করেছেন এবং ব্যাপারে যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটি আমরা দেখছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে আইন করার প্রয়োজন নেই। এটি আমার মনে হয়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কাজেই সবকিছুতে আইন লাগে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অথবা ইউজিসি ব্যবস্থা নিতে পারে। এ বিষয়টি আমরা দেখব, কেন এ সমস্যাটা দেখা দিচ্ছে?’

জাতীয় সংসদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর