Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চামড়া রফতানির সুযোগ দেওয়া হবে: শিল্পমন্ত্রী


১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৩৯ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:০১

ঢাকা: আগামী কোরবানির ঈদে চামড়া নিয়ে কোনো অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কাঁচা চামড়া রফতানির সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে ওয়েটব্লু চামড়া রফতানি হবে। এর জন্য সরকার রফতানি নীতি সংশোধন করবে।’

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্যে টাক্সফোর্সের প্রথম সভা’ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়া আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদের সুরক্ষা এবং এর সর্বোচ্চ বেনিফিট নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা কোনভাবেই গত কোরবানির ঈদের মতো আরও কখনো এ সম্পদ নষ্ট হতে দেব না।

সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য ট্যানারি মালিক, ফড়িয়া, মৌসুমী বা অ্যামেচারদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এ লক্ষ্যে ধর্ম, বাণিজ্য, শিল্প, পরিবেশ ও বন, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রশিক্ষণ, টিভি চ্যানেলে প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা কোরবানির চামড়া না কিনলে তা সংরক্ষণের জন্য টিসিবির মাধ্যমে গুদামে ন্যূনতম তিনমাস সংরক্ষণ করা হবে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি কর্মপরিকল্পনা পেশ করবে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ওয়েটব্লু চামড়া রফতানি হবে। এর জন্য সরকার রফতানি নীতি সংশোধন করবে। সার ডিলারদের মাধ্যমে প্রতি উপজেলা পর্যায়ে ন্যূনতম দুজন ডিলারকে চামড়া সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। তার একইসঙ্গে সার ও চামড়াজাত পণ্য বিক্রি করবে। এজন্য তাদেরকে প্রণোদানা দেওয়া হবে।

গুদামে তিন মাস চামড়া সংরক্ষের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা গুদামে চামড়া সংরক্ষণ করবো। প্রক্রিয়াটি কী হবে সে বিষয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে চামড়া খাতের ক্ষতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো ক্ষতিগ্রস্থ হইনি। এটা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জন্য ইতিবাচক হয়ে এসেছে। আমরা এখন নতুন বাজার খুঁজে পাবো। চীন থেকে যারা চামড়া নিত, আমরা এখন সেই বাজারে যেতে পারবো। পশ্চিমা বাজার এখন আমাদের জন্য উন্মুক্ত।

চামড়া টপ নিউজ শিল্প প্রতিমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর