Wednesday 22 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অভ্যন্তরীণ একাধিক রুটে ফ্লাইট চালাবে ইউএস-বাংলা’


৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:২৭ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৩১

চলতি বছরের মধ্যেই সিলেট-চট্টগ্রাম, সিলেট-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-যশোর, সৈয়দপুর-চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে কানেক্টিং ফ্লাইট চালু করবো, এটিই আমাদের লক্ষ্য।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেটের পর্যটন মোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সিনিয়র ক্যাপ্টেন মশিউল আজম, ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক মনিরুল হক জোয়ারদার ও মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, চলতি বছর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে ৫ম প্রজন্মের আরো ১০টি নতুন ব্র্যান্ডের এটিআর ৭২-৬০০ প্লেন যোগ হবে। বর্তমানে ৫ম প্রজন্মের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছয়টি এটিআর উড়োজাহাজ বহরে রয়েছে।

অভ্যন্তরীণ কানেক্টিভিটি বাড়ানোই মূল লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন আকাশ পথে বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় আনার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন। শিগগিরই সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর ও সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন রুটে কানেক্টিং ফ্লাইট চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।

করোনা ভাইরাসের কারণে চীনে ফ্লাইট বন্ধ করার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে মেসবাহউদ্দিন বলেন, ইউএস-বাংলা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান, এ দেশের মানুষের কথা ভাবে। চীন যাওয়ার ক্ষেত্রে অল্প যাত্রী যাচ্ছে। কিন্তু আসার সময় শতভাগ আসন পূরণ হয়ে আসছে। আমরা স্বল্প মেয়াদে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি ঠিকই, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে মানুষ আমাদের স্মরণ রাখবে বলে মনে করছি। আমরা চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনা বন্ধ করবো না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সিভিল এভিয়েশনও কাজ করছে, সৈয়দপুর ও রাজশাহীতে রানওয়ে উন্নত করছে। অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবর্তনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রুটেরও ম্যাপ তৈরি করছি। দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়লে এভিয়েশন সেক্টরেরও প্রবৃদ্ধি বাড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে এটিআর ৭২-৬০০ এর সেফটি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের চিফ অব ট্রেনিং সিনিয়র ক্যাপ্টেন মশিউল আজম। তিনি বলেন, ইউএস-বাংলার ১০ জন পাইলটকে বিদেশি প্রশিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন শামস বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অগ্রাধিকার হচ্ছে নিরাপত্তা। একটি ডমেস্টিক বিমানবন্দরে ১০ হাজার ফুটের রানওয়ে থাকাটা স্ট্যান্ডার্ড। বাংলাদেশের রানওয়ের সাড়ে ছয় হাজার ফুট। তবে নতুন এই এটিআর এয়ারক্রাফট বাংলাদেশের এই ছোট রানওয়ের মধ্যেও ওঠানামায় সক্ষম।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর