ছুটির দিনে পাঠক ভিড়ে টইটুম্বুর বইমেলা
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:২০ | আপডেট: ১০ মে ২০২২ ১৮:৫২
ছুটির দিনে যেন পূর্ণতা পেল অমর একুশে বইমেলা। ক্রেতা পাঠকের সঙ্গে দর্শনার্থী মিলিয়ে বিকেল থেকেই জমজমাট মেলার সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণ। ভিড় কম ছিল না বাংলা একাডেমি অংশেও। পাঠকের এমন ভিড়ে খুশি প্রকাশকরা। এদিনের মেলার সকালটা থাকলো ছোটদের আর বিকেল থেকে সন্ধ্যাটা ছোট-েবড় সবার। প্রকাশিত বইও ছিল এবারের মেলার সর্বোচ্চ ৩০৮টি।
সিনথিয়া সালাম মেলায় এসেছিলেন শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে। দুজনের পরনেই একই রঙের শাড়ি। সিনথিয়ার কাছে বইমেলা যেন উৎসব। ভিড়টা তাই উপভোগই করেন। আর নতুন বই তো আছেই।
তবে লেখক বিধান রিবেরু বলছিলেন, এই ভিড়ের বেশিরভাগই হুল্লোড়ে। বইয়ের খোঁজে খুব কম পাঠকই এসেছে। যদিও ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা বেশ ভালো বই বিক্রির কথাই জানালেন।
মেলায় ভিড়ের মধ্যেও তরুণ পাঠকের একটা অংশ ঘিরে ছিল কবি ও গীতিকার মারজুক রাসেল, সাদাত হোসাইন ও আইমান সাদিককে। এমন ক্রেজ না থাকলেও প্রথমা প্রকাশনীতে কথাসাহিত্যিক আনিসুল হককেও দেখা গেছে অটোগ্রাফ দিয়ে পাঠক আগ্রহ মেটাতে।
এদিকে সকাল ১১টা থেকে শিশু প্রহরে অভিভাবকদের সঙ্গে মেলায় এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরেছে আর বই দেখেছে শিশুরা। এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল থেকেই টিএসসি হয়ে অভিভাবকদের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে আসে শিশুরা। শিশু কর্নারের বিভিন্ন স্টলে গিয়ে নানা বয়সী শিশুরা কিনেছে নিজেদের পছন্দনীয় বিভিন্ন শিশুতোষ বই। টেলিভিশনের পর্দার প্রিয় হালুম আর ইকরিসহ সিসিমপুরের অভিনয় শিল্পীরা এসেছিল এই প্রহরে।
পর্দার বাইরে প্রিয় চরিত্রের মানুষগুলো ও তাদের অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত ছিল শিশুরা। কিন্তু বাবার কাঁধে চড়েও অভিনয় শিল্পীদের দেখতে পায়নি অনেক শিশু। এ নিয়ে আক্ষেপ করেছে অনেক বাবা-মা। শনিবারও সকালটায় থাকবে শিশু প্রহর।
ষষ্ঠ দিনের ৩০৮টি বইসহ মেলায় নতুন বই এলো ৬৪০টি। এর মধ্যে সুবর্ণ থেকে প্রকাশিত হয়েছে মুনতাসীর মামুনের ‘বাংলাদেশ ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের শত্রুপক্ষ’। সময় প্রকাশন প্রকাশ করেছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘গ্লিনা’। কথাপ্রকাশ প্রকাশ করেছে রকিব হাসানের গোয়েন্দা কাহিনি ‘গুপ্তধনের সংকেত’।
মূলমঞ্চে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সৈয়দ শামসুল হকের ‘বঙ্গবন্ধুর বীরগাথা’ বইকে ঘিরে আলোচনা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন ইমদাদুল হক মিলন। আলোচক খায়রুল আলম সবুজ ও আনিসুল হক। আর লেখককুঞ্জে পাঠকের মুখোমুখি হয়েছিলেন লেখক তুষার আবদুল্লাহ ও কবি জাহানারা পারভীন।