Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশকে আর কেউই পেছনে টেনে নিতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী


৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৫৬ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:২৫

বাংলাদেশ যেকোনো দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা এখন আর কারও কাছে ভিক্ষা চাই না। বরং আমরা নিজেরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। এখন আমাদের আর কেউই পেছনে টেনে নিতে পারবে না।

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী রোম পৌঁছেছেন

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাতে রোমের পার্কে দ্য প্রিনসিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পা’তে আয়েজিত এক সংবর্ধনায় দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। চার দিনের সরকারি সফরে ইতালি পৌঁছালে আওয়ামী লীগের ইতালি শাখা এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।

সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের শতকরা ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। এখন আর দাতারা আমাদের ভিক্ষা দিতে আসে না। বরং তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী অভিহিত করে সহযোগিতা দিতে আসে। কারণ কারও কাছে আমরা ভিক্ষা চাই না।

নিজস্ব অর্থায়নে সরকারের পদ্মাসেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো কাজ যে আমরাই পারি, তা আমরা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছি।’ পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাংক সরকারকে বদনাম দিতে চেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম যে আমরা নিজস্ব অর্থায়নেই এই সেতু নির্মাণ করব। এখন আমরা নিজস্ব অর্থেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কাজেই আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যখনই আমরা ক্ষমতায় আসি না কেন আমরা দেশটাকে এমনভাবে গড়ে তুলব যেন বিশ্বসভায় বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আমরা এখন দাবি করতেই পারি, বিশ্বে আমরা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে সেই পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।

বিজ্ঞাপন

অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে যান। আমাদের সরকার সেখান থেকে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান ধরে রাখতে হবে। তাহলেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারব। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে তিনটি মাপকাঠি রয়েছে, তা আমরা এরই মধ্যে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না, আমরা এগিয়ে যাব।

’৭৫-এর জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা জনগণের জন্য কিছু না করে নিজেদের ভাগ্য বদলে ব্যস্ত ছিল বলে অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সে সময় বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস ও দুর্ভিক্ষের দেশ হিসেবে। বিশ্বে বাংলাদেশকে অবহলার চোখে দেখা হতো, যা আমাদের জন্য লজ্জার ও বেদনাদায়ক ছিল। কিন্তু আমরা অতি দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশে আর দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ আমরা এ বছরের মধ্যে এই হারকে আরও ২ থেকে ৩ ভাগ নামিয়ে আনতে সক্ষম হব, যে কারণে আমরা বেশকিছু বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, দেশে আর কেউ দরিদ্র থাকবে না, দেশে আর কেউ গৃহহীন থাকবে না। কেউ আমাদের সহানুভূতির চোখে দেখবে না। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলব— সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বাসস।

ইতালি আওয়ামী লীগ ইতালি সফর গণসংবর্ধনা টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

শেষ কবে এতটা নিচে ছিলেন কোহলি?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৪

মুম্বাই যাচ্ছেন শাকিব খান
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৫

আরো

সম্পর্কিত খবর