২ দিনেও উদ্ধার হয়নি খালে পড়া শিশু আশা মনি
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:৫৮ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:০১
ঢাকা: রাজধানীর কদমতলীর ডি অ্যান্ড ডি প্রোজেক্টের খালে পড়ে নিখোঁজ আশা মনিকে ৪৮ ঘণ্টা পরেও উদ্ধার করা যায়নি। শিশুটির খোঁজে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও স্থানীয়রা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, আাশা মনির বাবা মো. এরশাদ শোকে পাথর হয়ে গেছে। তার মাও কোনো কথা বলতে পারছে না। শুধু কান্না করে যাচ্ছে। জীবিত না হোক মৃত হলেও আশাকে পেতে চায় পরিবারটি।
মো. এরশাদ পরিবার নিয়ে কদমতলীর মেহাম্মদবাগ এলাকায় থাকেন। তার একটি মুদির দোকান রয়েছে। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাসার পাশের ছোট ফাঁকা জায়গায় বল নিয়ে খেলছিল আশামনি। এক পর্যায়ে বলটি খালের পানির ওপর জমে থাকা ভারি ময়লার স্তূপের ওপর গেলে আশামনি বলটি কুড়িয়ে আনতে যায়। পরে ময়লা সরে গেলে ডুবে যায় শিশুটি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা উদ্ধারে চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে যোগ দেয় তাদের সঙ্গে। কিন্তু এখনও তারা শিশুটির খোঁজ পায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক কাজি নজমুজ্জামান বলেন, ‘কদমতলীর এই খালটি যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি হয়ে কাঁচপুর ব্রিজের নিচ দিয়ে শীতলক্ষ্যায় গিয়ে মিশেছে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়জন সদস্য পুরো খাল চষে বেড়াচ্ছে। তিনজন প্রশিক্ষিত ডুবুরি ব্রিজ ও নালার নিচেও খুঁজে শিশুটির মৃতদেহ। এর আগে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত আট পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালায় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়া। ধারণা করা হচ্ছে, খালের পানির নিচে আবর্জনার স্তূপে আটকে থাকতে পারে শিশুটি।’
এদিকে শিশুটির মরদেহ খুঁজতে নালার দক্ষিণ দিকে আবর্জনা পরিষ্কার করছে স্থানীয়রা। তারা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে আবর্জনা পড়ে এই নালার পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষায় পানি মূল সড়ক উপচে পড়ে। এর আগেও এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।