হরতালের প্রভাব নেই রাজধানীর কাঁচাবাজারে
২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৪৪ | আপডেট: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৫০
ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কায় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে হঠাৎ করেই রাজধানীতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকায় চলছে হরতাল। তবে হরতালের কোন প্রভাব নেই রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। বাজারগুলোতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর নতুনবাজার কাঁচাবাজার, মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার, মেরুল বাড্ডা কাঁচাবাজার এবং রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি পিচ ৪০ টাকা, টমেটো কেজি প্রতি ৪০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, নতুন আলু কেজি ২২ টাকা, গাজর ৩০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি, লাউ (বড়) ৬০ টাকা, শশা কেজি ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ কেজি ১০০ টাকা, বাঁধা কপি পিচ ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের কালি (আঁটি) ১০ টাকা, লেবু (হালি) ৪০ টাকা, পেঁয়াজ (মুড়ি কাটা) ১২০ টাকা, পেঁয়াজ (বামির্জ) ১১০ টাকা, রসুন (ভারতীয়) কেজি ১৭০ টাকা, দেশি রসুন ১৯০ টাকা, চায়না আদা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মাজহারুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবজির দাম বাড়েনি। দু’দিন আগেও যে দামে সবজি বিক্রি করেছি আজও সেই দামে বিক্রি করছি। কাওরানবাজার থেকে আগে যে দামে সবজি কিনেছি আজও সেই দামে কিনলাম। তবে কিছু সবজিতে দাম ২-৫ টাকা কমেছে আবার কোনটাতে ১-২ টাকা বেড়েছে। তবে এটা কোনো প্রভাব না। কোন সবজির কেজি যদি ১০-২০ টাকা বেড়ে যায় তাহলে সেটাকে আমরা বেশি বলে থাকি।’
বাজারে সবজির দাম বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে মধ্যবাড্ডায় বাজার করতে আসা স্কুলশিক্ষক জসীম ভুঁইয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘না। গতকাল যে দামে সবজি কিনেছি আজও সেই দামে কিনলাম। গতকাল আলু কিনেছি ২২ টাকায় আজও সেই দাম। মরিচ কিনেছি ৬০ টাকায় আজও তা একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি কেজি ২৪০ টাকা, হাঁস প্রতিটি ৪০০-৪২০ টাকা। অর্থাৎ আগের দামেই মাংস বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নাবিল ২৮ (৫০ কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। পাইজাম ২৮ (৫০) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা। আরিফ ২৮ (৫০) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। নাবিল মিনিকেট (৫০) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। দাদা চিনিগুড়া (৫০ কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬০০ টাকা। দাদা ২৮ (৫০ কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ টাকা। দুর্গা নাজির (৫০ কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ টাকা। ডায়মন্ড নাজির (৫০ কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা। রশিদ মিনিকেট (৫০ কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। মোজাম্মেল মিনিকেট (৫০ কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪২০ টাকা।
চালের বাজার প্রসঙ্গে উত্তর বাড্ডার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী রফিক হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘১০ দিন আগে চালের দাম বেড়েছে। এখন সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। তবে সামনে আর বাড়বে কিনা সেটা বলা যাচ্ছে না।’