জাতীয় কবিতা উৎসব ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি
৩১ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:১৮
ঢাকা: ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’—এই মর্মবাণী নিয়ে আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে ‘জাতীয় কবিতা উৎসব-২০২০’ অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত জানান, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলমুক্তির ডাক দিয়ে যে কবিতা উৎসবের শুরু ১৯৮৭ সালে, কালের পরিক্রমায় সে উৎসব তেত্রিশ বছর পার করেছে। এই উৎসব থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশের কবিরা যে মর্মবাণী উচ্চারণ করেছেন তাই সমগ্র জাতির কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া জাতীয় কবিতা উৎসব ও জাতীয় কবিতা পরিষদের নিরন্তর এই সংগ্রামের ইতিহাস আজ আর কারও অজানা নয়। আমরা অব্যাহতভাবে স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কথা বলে এসেছি। কবিদের দ্রোহের স্ফুলিঙ্গ থেকে জন্ম নিয়ে কী করে একটি উৎসব জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপ নিয়েছে তার ইতিহাসও কমবেশি আপনারা জানেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিগত প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে বিশ্বের দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা এই উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এই উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি।’
দুদিনব্যাপী এই উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আমরা এই শ্লোগানকে মূর্ত করে তোলার চেষ্টা করবো। জাতীয় কবিতা উৎসব কবিতার বৃহত্তম এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন শুধু বাংলাদেশের নয়, দাক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক অনন্য উৎসব- যা ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছে। সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার কবিতানুরাগী ও শ্রোতার অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে এই উৎসব যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার নজীর পৃথিবীতে বিরল।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কবি কাজল বন্দ্যোপাধায়, নির্মলেন্দু, বুলবুল মহলানবীশ, আমিনুর রহমান সুলতান, দিলারা হাফিজ ও মো. আহকাম উল্লাহ্সহ অনেকে।