দেশে ২৮১ রকমের পাটপণ্য তৈরি হয়: সংসদে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:০৯ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৫২
সংসদ ভবন থেকে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বাংলাদেশে ২৮১ রকমের পাটপণ্য তৈরি করা হয়। আর এই পণ্যগুলো সারাবিশ্বে রফতানি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘বর্তমানে ইরান, দুবাই, সুদান, মিশর, যুক্তরাষ্ট্রে হোসিয়ান পণ্য; সুদান, মিশর, ক্যামেরুন সিরিয়া, ঘানাতে স্যাকিং পণ্য; ইতালি অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে সয়েল সেভার; চীন রাশিয়া, তুরস্কে জুট ইয়ার্ন এবং অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সিবিসি পণ্য রফতানি করা হয়।’
এদিকে লক্ষীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ১৪ হাজার বেল।’
জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘রেশম শিল্পের পরিসম্পদ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্যবিবরণী অনুযায়ী বাংলাদেশ রেশন উন্নয়ন বোর্ড এবং এর অধীনে রাজশাহী ও ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানার মোট পরিসম্পদের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ৫০৭ টাকা।’
গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, রাজশাহী রেশম খারখানার ১৯টি পাওয়ার লুম পর্যায়ক্রমে চালুর মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৯১ গজ রেশম কাপড় উৎপাদন করা হয়েছে। আর উৎপাদিত এ কাপড় বিক্রি করে ৯ দশমিক ৫০ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এছাড়া ৪৩ দশমিক ৬৫ হাজার তুতচারা উৎপাদন, ৪০ লাখ রোগমুক্ত রেশম ডিম উৎপাদন এবং ৯ লাখ রেশম ডিমের চাকী রেশম চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ দশমিক ৬৪ লাখ কেজি রেশম গুটি এবং মিনিফিলোচার কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৬০ কেজি রেশম সুতা উৎপাদন করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার ৭৫১ চাষিকে তুতচাষ, পলুপালন ও রিলিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বস্ত্রও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বার্ষিক ১০০ মেট্রিকটন রেশম সুতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় সম্বলিত মেগা প্রকল্প নেওয়া হবে। রাজশাহী রেশম কারখানার ৪২টি পাওয়ার লুম চালু করা হবে। রাজশাহীর কারখানাটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টানারশিপের মাধ্যমে চালু করা হবে। রেশম চাষি ও বসনীদের রেশম ফসল সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। ১০ হাজার রেশম চাষিকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে অর্থসহায়তা প্রদানের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা হবে।
এছাড়া পাট পণ্যের মতো রেশম পণ্যও ভ্যাট মুক্ত করা হবে বলে সংসদে জানান গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।