Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাস্তা থেকে পোশাককর্মীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, গণধর্ষণের অভিযোগ


২৬ জানুয়ারি ২০২০ ২০:৫৫ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ২১:০৪

প্রতীকী ছবি

জামালপুর: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে জামালপুরের এক নারী পোশাককর্মীকে। তার অভিযোগ, সাভারের আশুলিয়ায় নিজ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য একটি পিকআপে চড়লে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করা হয়। পরে গণধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়। বর্তমানে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে মেয়েটিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী এলাকায় রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই পোশাককর্মীকে। খবর পেয়ে স্বজনরা প্রথমে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদরের শাহবাজপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই পোশাককর্মীর বাড়ি। আশুলিয়ার একটি ডেনিম কারখানায় কাজ করেন তিনি। কারখানার কাছেই একটি মেসে ভাড়া থাকেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হন।

ওই পোশাককর্মী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় গার্মেন্টস ছুটির পর তিনি জামালপুরে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হন। প্রথমে তিনি আশুলিয়া থেকে বাসে গাজীপুরের চানধরা এলাকায় নামেন। সেখান থেকে তিনি একটি পিকআপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন, তাতে বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিল। পিকআপের চালক জানান, গাড়িটি জামালপুরে যাবে। গাড়িতে থাকা একজন মাঝবয়সী ব্যক্তি জানান, তিনি আগে সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। মেয়েটি চাইলে তাদের সঙ্গে যেতে পারেন।

পোশাককর্মী জানান, পিকআপটি চানধরা থেকে বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর বেশিরভাগ যাত্রীই নেমে যায়। এসময় তার পাশের যাত্রী নেমে একটি ফলের জুসের প্যাকেট কিনে নিয়ে আসে। তাকে জুস খেতে বললে তিনি রাজি হননি। পরে জোরাজুরি করলে তিনি জুস খান এবং এর কিছুক্ষণ পরই তিনি সংজ্ঞা হারান। পরে যখন তার চেতনা ফিরে আসে, তিনি জানতে পারেন, টাঙ্গাইলের সাগরদিঘী এলাকায় তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তখন শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা ছিল। তিনি বুঝতে পারেন, তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তকে সংজ্ঞা না থাকায় কখন কিভাবে কী হয়েছিল, তা বলতে পারছেন না তিনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, শুক্রবার ভোরে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী এলাকায় রাস্তার পাশে ওই মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারা মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র থেকে নম্বর নিয়ে মেয়েটির স্বজনদের ফোন করেন। খবর পেয়ে মেয়েটির কয়েকজন স্বজন তাকে সাগরদিঘী থেকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। শনিবার বিকেলে তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতনের শিকার ওই নারী ও তার স্বজনরা ধারণা করছেন, তাকে কয়েকজন ব্যক্তি ধর্ষণ করেছেন। নিপীড়করা মেয়েটির সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে একজোড়া রূপার নুপুর, একসেট জামা, নগদ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যাগটি ফেলে রেখে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এদিকে, জামালপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেয়েটি শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল। তার নেশার ঘোর এখনো কাটেনি। তার সুস্থ করে তুলতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. গাজী মো. রফিকুল হক জানান, আমরা ধর্ষণের অভিযোগের কথা জেনেছি। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছেন কর্তব্যরত নার্সরা। ডাক্তারি পরীক্ষার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। পরীক্ষা শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য জানানো যাবে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানান, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীর পরিচয় ও ঘটনার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গণধর্ষণ গণধর্ষণের অভিযোগ টপ নিউজ নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন পোশাককর্মী

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর