Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নির্বাচিত হলে নারীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো’


২৬ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৫২ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০৬

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যদি মেয়র নির্বাচিত হই তবে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা সিটি করপোরেশনের মাঠ, স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপে গড়ে তুলবো নারীদের আত্মরক্ষার কর্মকৌশল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। এভাবেই একদিন ঢাকা শহর হয়ে উঠবে নারীবান্ধব।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে ‘উমেন ওয়ারিয়র্স বাংলাদেশ’ এর পরিচালনায় নারীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আতিকুল ইসলাম বলেন, ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, আমাদের প্রত্যেকেরই আত্মরক্ষার কর্মকৌশল শেখা দরকার। এটি সবার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে। যে কোনো ধরণের আক্রমণ থেকে বাঁচতেও এই সেলফ ডিফেন্স শিখে রাখা দরকার।

তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সুস্থ, সচল এবং স্মার্ট নগরী গড়া তোলা আমার অঙ্গীকার। সবাইকে নিয়ে গড়ে তুলতে চাই সবার ঢাকা। আর এর প্রথম ধাপ হলো নারীদের পূর্ণ শক্তিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আর এই ক্ষেত্রে নারীর আত্মরক্ষায় কিন্তু এগিয়ে আসতে হবে নারীকেও।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যদি আমি জয়লাভ করি তবে আমরা এমন পরিকল্পনা করবো যাতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে এবং সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মাঠগুলোতে কিছু স্থান নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়। যেখানে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপে গড়ে নারীদের আত্মরক্ষার কর্মকৌশল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এভাবেই একদিন আমাদের ঢাকা হবে নারীবান্ধব ঢাকা।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান সময়ে শারীরিক পরিশ্রম ও হতাশা কাটানোর জন্য অনেকেই ডিপ্রেশনের ওষুধ গ্রহণ করেন বলে উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, আগে কিন্তু মানুষ এতো পরিমান ডিপ্রেশনের ওষুধ খেতো না। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেকেই ডিপ্রেশন কাটানোর ওষুধ গ্রহণ করেন। এই ডিপ্রেশন আসে কখন? যখন নিজের মধ্যে কোনো কিছু নিয়ে বিষাদ কাজ করে এই ভেবে যে কিছু করতে পারছে না। আবার কিছুক্ষেত্রে দেখা যায় শারীরিক শ্রমের অভাবেও। আর তাই আমরা তরুণদের জন্য এমন ব্যবস্থা করতে চাই যেনো এই হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারে। আর তাই আমরা এই আত্মরক্ষার কর্মকৌশলের প্রশিক্ষণগুলো ছড়িয়ে দিতে চাই বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। যেনো আমাদের শিশুরাও এসব প্রশিক্ষণে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এই ক্ষেত্রে যদি কেউ তারা ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তারা হতাশামুক্ত হয়ে গড়ে উঠবে। এভাবে তারা এগিয়ে যাবে অনেকদূর।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, তোমরা যখন জানবে কিভাবে আত্মরক্ষা করা যায় তখন তাতে কিন্তু আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। এই আত্মবিশ্বাসটা শুধু শক্তিবৃদ্ধি বা ক্রীড়াক্ষেত্রেই না বরং যেকোনো মানুষের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যেও লাগে।

নিজের ব্যক্তি জীবনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমি ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে ছিলাম। আমাদের সেখানে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। রানা প্লাজার দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন সেখানে গিয়ে কিন্তু আমি বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বসে থাকেনি। নিজেই দুর্ঘটনায় আহতদের বের করে আনেছিলাম। কারণ আমার সেই প্রশিক্ষণ ছিল। আমি স্কাউটিং করেছি, লিও ক্লাব করেছি আর তাই আমি জানি একটা মানুষ যদি বিপদে পড়ে তবে তাকে প্রাথমিক সেবাটা কিভাবে দেওয়া যায়। মূল কথা হলো মানুষের সেবা করে গেছি সবসময়েই। কাজ ফেলে চুপ করে বসে থাকা আমি শিখি নাই।

নির্বাচনি প্রচারণার ১৫তম দিনে আতিকুল ইসলাম রাজধানীর কালাচাঁদপুর, শাহজাদপুর, বাঁশতলা, গুলশান-২ এলাকায় গণসংযোগ করেন।

আতিকুল টপ নিউজ নির্বাচন সিটি করপোরেশন

বিজ্ঞাপন

শেষ কবে এতটা নিচে ছিলেন কোহলি?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৪

মুম্বাই যাচ্ছেন শাকিব খান
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৫

আরো

সম্পর্কিত খবর