আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ প্রত্যাখান করেছে মিয়ানমার
২৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৩ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:২১
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধন প্রতিরোধে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) দেওয়া চার অন্তর্বর্তী নির্দেশনা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখান করেছে দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাখাইন পরিস্থিতির খণ্ডচিত্র পর্যবেক্ষণ করে আইসিজে ওই নির্দেশনা দিয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের হেগে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায়, আইসিজে’র গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে গাম্বিয়ার দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের জন্য চারটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা ঘোষণা করে আদালত। এ নির্দেশনাগুলো অবশ্য পালনীয় এবং পুনঃআবেদনের সুযোগবিহীন।
তবে, নির্দেশনা পালনে মিয়ানমারকে বাধ্য করার এখতিয়ার আইসিজের নেই।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নিজস্ব কমিশন এবং স্বাধীন কমিশন কয়েকদফা তদন্ত করে রাখাইনে কোনো গণহত্যার প্রমাণ খুঁজে পায়নি। তবে, সেখানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। সেই সমস্যার সমাধান তারা দেশটির নিজস্ব বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে চায়।
এছাড়াও, মিয়ানমারের সঙ্গে কয়েকটি দেশের দ্বি পাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটানো এবং রাখাইনে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করার দায়ে তারা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নিন্দা জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমার দেশটির উত্তরে রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বাড়তি নজরদারির স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঞ্চলে ব্যাপক সেনা সমাগম করে আসছে। সর্বশেষ, ২০১৭ সালের এক সেনা অভিযানের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ইতোমধ্যেই, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কয়েকদফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে তা আলোর মুখ দেখেনি।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) টপ নিউজ মিয়ানমার রাখাইন রোহিঙ্গা