Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিটি নির্বাচনে কোনো অনিয়ম দেখতে চান না সিইসি


২২ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৪

ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে কোনো অনিয়ম দেখতে চান না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখতে চাই না। জনগণ যেন পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে এবং এজেন্টরা যেন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটরিয়াম (বেইজমেন্ট-২) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন- দুই সিটির নির্বাচনে ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে পুলিশ

সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাদের প্রত্যয় রয়েছে, ‍দৃঢ়তা রয়েছে, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার একমাত্র কর্তৃপক্ষ আমরাই। আমাদের নির্দেশে ও ব্যবস্থাপনাতেই বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তার দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে। এটা করা গেলেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশে এক সরকার, এক দেশ, এক রাজধানী। সেই প্রেক্ষাপটে ঢাকা সিটি দুইটি অংশে বিভক্ত। রাজধানীর দুইটি অংশে নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনের দিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরের জনগণ তাকিযে রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে জনগণ, প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে মহা উৎসবের আমেজ চলে এসেছে। এই উৎসাহ-উদ্দীপনার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলব, নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। আমার ভোট আমি দেবো, একইসঙ্গে আমার পছন্দের প্রার্থীকেই যেন ভোটটা দিতে পারি, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য যার যার অবস্থান থেকে আইন দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

নুরুল হুদা আরও বলেন, আমি চাই না নির্বাচনে কোনো রকমের অভিযোগ, অনিয়ম, বা ত্রুটি-বিচ্যুতি নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত আসুক। আমি আশা করব, মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারাই যেন যেকোনো অনিয়ম ও ত্রুটি-বিচ্যুতি কঠোরভাবে দমন করেন। ইসিতে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রায়ই বলা হয়ে থাকে, এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না কিংবা ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ধরনের অভিযোগ যেন আর না আসে। ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট প্রবেশ করলে তার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে কোনো এজেন্ট বাড়ি থেকে না এলে তাকে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমাদের না।

ঢাকা উত্তরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রচারে হামলার অভিযোগ আসার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় সন্তোষ জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ দেওয়ার আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে খতিয়ে দেখার জন্যে বলেছেন। সবাই যার যার জায়গা থেকে এভাবে কাজ করবেন।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনকে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের সর্বোচ্চ প্রযুক্তি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। এতে করে কেন্দ্র দখল করার কোনো সুযোগ নেই।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও বিগ্রেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, বিজিবি মহাপরিচালক, ডিজিএফআই পরিচালকসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।

কে এম নুরুল হুদা টপ নিউজ নির্বাচন কমিশন সিইসি সিটি নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর