২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন, থাকছে না সত্যায়ন
১৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:৩৮ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:০০
ঢাকা: সব জল্পনা-কল্পনা শেষে ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করবেন। ওইদিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে ডিজিটালাইজড। একে একে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। অথচ সেদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে অনেকেই দ্বিমত করেছিলেন।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এরই মধ্যে সবার কাছে আমরা এমআরপি পাসপোর্ট পৌঁছে দিয়েছি। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে মেশিনে একজন ব্যক্তির প্রকৃত তথ্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় ই-পাসপোর্ট করার গৌরব এখন একমাত্র বাংলাদেশের। এটি মুজিববর্ষের উপহার। আবেদনপত্র ডাউনলোডের পর পূরণ করে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছবি ও সত্যায়িত কিছু লাগবে না। তবে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন লাগবে। পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ এবং ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভিন্ন ভিন্ন ফি দিয়ে পাওয়া যাবে। নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতি জরুরি তিনদিনে, জরুরি সাতদিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুদিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিনদিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট সাতদিনের মধ্যে দেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে উত্তরা, যাত্রবাড়ী এবং আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে এ কার্যক্রম শুরু হবে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট চালু হবে। বাংলাদেশে প্রথম ই-পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। এই পদ্ধতি চালু হলে প্রতিদিন ২৫ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনো রোহিঙ্গার ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নেই। তারপরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যায়, তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়বে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা। এছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা।