‘অর্থনৈতিক কূটনীতি ও পাবলিক ডিপ্লোমেসিতে গুরুত্ব দিচ্ছি’

ঢাকা: বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে, রফতানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ করতে এবং দেশীয় জনবলের জন্য বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে অর্থনৈতিক কূটনীতি ও পাবলিক ডিপ্লোমেসিতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা উপলক্ষে আয়োজিত ‘উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের চালিকা শক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা জানান।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের বিনিয়োগ, রফতনি বৃদ্ধি-বহুমুখীকরণ এবং বাংলাদেশের জনবলের বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে অর্থনৈতিক কূটনীতি ও পাবলিক ডিপ্লোমেসি’র বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা আগামী দুই বছর- বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য ৭৭টি মিশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে তুলে ধরা হবে। আমরা দারিদ্রক্লিষ্ট অর্থনীতির হিসেবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং আমরা পরিবর্তন করতে চাই।’

বাংলাদেশের ১ কোটি ২২ লাখ লোক বিদেশে কাজ করে যাদের অধিকাংশ অদক্ষ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠাতে পারলে আমাদের রেমিটেন্স অনেক বেড়ে যাবে। সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে আন্তরিকতা প্রয়োজন। এতে সেবার মান ভাল হয়। আমরা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ দু’টি সম্পদ মানবসম্পদ ও পানি যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবা চালু হওয়ায় সেবার মান ভাল হচ্ছে। এতে সময় ও অর্থের সাশ্রয়ের পাশাপাশি হয়রানিও কম হয়। আর যারা সেবা গ্রহণ করবেন তাদেরকে জানতে হবে সেবা নেওয়ার কৌশল। সেবার মান বৃদ্ধিতে দূতাবাস অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এতে ৩৪ ধরনের সেবা খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে।’ এসময় সিলেট বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি; এখানে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ৫২ ধরনের সেবা পাওয়া যায় বলেও জানান মন্ত্রী।

অর্থনৈতিক কূটনীতি দেশীয় জনবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি বিনিয়োগ