Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভোটের তারিখ ইসি’র এখতিয়ার, সরকারের করণীয় নেই’


১৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:০১ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:২৪

ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ বা পরিবর্তন নিয়ে সরকারের কোনো করণীয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি মনে করে যে তারা সিটি নির্বাচনের তারিখ আগে-পরে আনবেন বা পরিবর্তন করবেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে তাদের এখতিয়ার। তারা চাইলে এটি করতে পারেন। এ বিষয়ে সরকার বা আমাদের আওয়ামী লীগের কিছুই করার নেই।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব সরস্বতী পূজার লগ্ন থাকায় ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে আন্দোলন করছেন। রাজু ভাস্কর্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অনশনও চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরাও বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে তারিখ পরিবর্তন করতে পারে।

এর মধ্যে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, সরস্বতী পূজার সময় সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে সরকার বড় অন্যায় করেছে। তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, তারিখ নির্ধারণ— এগুলো তাদের বিষয়। এর সঙ্গে সরকার কোনোভাবেই যুক্ত নয়। কাজেই সরকার এখানে অন্যায় করেছে, এই কথাটা বলার কোনোই যৌক্তিকতা নেই।

বিজ্ঞাপন

সরকারের এই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। পূজার কারণে আজ বিতর্ক দেখা দিয়েছে, সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করি, সংক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায় যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সম্মানজনক, গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত একটি সমাধান নির্বাচন কমিশন খুঁজে নেবে। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে নির্বাচনের তারিখ আগে বা পরের কোনো দিন নির্ধারণ করবে, সেটা তাদের এখতিয়ার। তারা সেটি করতেই পারেন। এ বিষয়ে আমাদের করণীয় নেই।

ইসি জানিয়েছে, তারা সরকারি ক্যালেন্ডার দেখে ভোটের দিন ঠিক করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো দায় আছে বলে মনে করেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নির্বাচনে যে ২২শ কেন্দ্র আছে, তার মধ্যে মাত্র ৫৪টি কেন্দ্রে পূজা হয়। তারপরও আমরা বলব, ৫৪ নয়, চারটি কেন্দ্র হলেও একটি ধর্মের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। আর সেটা আমরা অবশ্যই করি। আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের তাদের সঙ্গে বসা উচিত। যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির একটি সম্মানজনক ও যৌক্তিক সমাধান তারা দেখবেন— এটাই আমরা আশা করছি। এই আলোচনা করতে গিয়ে তারা যদি মনে করেন, নির্বাচনের তারিখ তারা পেছাবেন অথবা এগিয়ে নিয়ে আসবেন, তাতে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।

গত রোববার (১২ জানুয়ারি) সম্পাদকমণ্ডলীর অনুষ্ঠিত সভাটি মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ সেই মুলতবি সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল কাদের।

সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, শফিকুল আলম চৌধুরী  নাদেল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক আয়েশা ওয়াসিকা খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সানজিদা খানমসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ ভোটের তারিখ পরিবর্তন সিটি নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর