Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজপরিবারের দায়িত্ব ছাড়ছেন হ্যারি-মেগান, রানির সিদ্ধান্ত কী?


১২ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:০৪ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:২৮

ব্রিটিশ রাজপরিবারে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে প্রিন্স হ্যারি, প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স চার্লসকে আলোচনার জন্য ডেকেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

সম্প্রতি আকস্মিক এক ঘোষণায় ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান রাজপরিবারের রীতিনীতি ও দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।

এতে তাদের ভবিষ্যৎ মর্যাদা, নিরাপত্তা, ব্যয়ভার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। তারা পরিবারের কারও সঙ্গে আলোচনা না করায় রয়েল প্যালেস হতাশা ব্যক্ত করে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নরফোলক এর সান্ড্রিংহাম রাজকীয় বাড়িতে তাদের পারিবারিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রানি এলিজাবেথ তার নাতি প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে আলোচনায় ডেকেছেন, হ্যারির বড় ভাই ডিউক অব ক্যামব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম ও তাদের বাবা চার্লস প্রিন্স অব ওয়েলেসকে।

ফোনে কানাডা থেকে রানির সঙ্গে কথা বলবেন হ্যারির স্ত্রী মেগান। সেখানে তাদের সন্তান আর্চি রয়েছে। তবে আলোচনায় সম্পৃক্ত থাকছেন না উইলিয়ামের স্ত্রী ডাচেস অব ক্যামব্রিজ ক্যাথরিন।

শৈশব থেকেই প্রিন্স হ্যারি কিছুটা স্বাধীন জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে হলিউড অভিনেতা মেগান মার্কেলের সঙ্গে হ্যারির প্রণয় হয়। এরপর থেকেই ব্রিটেনের ট্যাবলয়েডগুলো হ্যারি-মেগানের মুখরোচক সব সংবাদ ছাপিয়ে তাদের পিছনে লেগে ছিল। কিছুদিন আগে বড় ভাই উইলিয়ামের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এমনটা আভাস দেয় সংবাদপত্রগুলো।

হ্যারি ও মেগান দম্পতি তাদের প্রথম সন্তান আর্চির নামেও ব্রিটিশ রাজপরিবারের পদবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। রীতি অনুযায়ী আর্চির নামের পূর্বে লর্ড বা আর্ল খেতাব জুড়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ, ৮ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে যৌথ বিবৃতিতে এই দম্পতি জানান, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী  হওয়ার জন্য তারা রাজকীয় আচার থেকে অবসর নিতে চান। সময় কাটাবেন যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকায়। কমনওয়েলথ ও রানির বার্তা বহন করবেন। তাদের সন্তানের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্তটি সহায়ক হবে।

রাজপরিবারে সদস্যদের ‘আধাআধি’ অধিকার বজায় রাখা অথবা ‘অর্ধেক ভিতরে; অর্ধেক বাইরে’ থাকার বিষয়টির সুরাহা একেবারেই ভিন্ন। যা আগে কখনো ঘটেনি। এমন সঙ্কটে রানি এলিজাবেথ কি সিদ্ধান্ত নেন তাই দেখার বিষয়।

ধারণা করা হচ্ছে এই দম্পতি কানাডায় গিয়ে বসবাস করবেন। ইতোমধ্যে কানাডার জনগণ এ নিয়ে উচ্ছ্বসা জানিয়েছে। কফিশপ চেইন টিম হরটনস জানিয়েছে, তারা আজীবন হ্যারি ও মেগানের জন্য ফ্রি কফি সরবরাহ করবে।

আরও পড়ুন:- দুই দশকেও যার মৃত্যুকে সহজভাবে নিতে পারেনি ভক্তরা

বৃটেনবাসীর ‘হৃদয়ের রানি’ ‘প্রিন্সেস ডায়নার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। রাজপ্রাসাদ ছাড়ার ঘোষণার পর এবারই প্রথম রানির মুখোমুখি হচ্ছেন প্রিন্স হ্যারি। হ্যারি ও মেগানের রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সংবাদপত্রে ‘মেক্সিট’ তকমা দেওয়া হয়েছে।

খবর ভ্যানেটি ফেয়ারের।

প্রিন্স উইলিয়াম প্রিন্স চার্লস প্রিন্স হ্যারি ব্রিটিশ রাজপরিবার রাজপরিবারে সংকট

বিজ্ঞাপন

জীবন থামে সড়কে — এ দায় কার?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২

বাসচাপায় ২ কলেজছাত্র নিহত
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর