৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএনসিসি
৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:২৩
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২০২০ সালে এক হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ১৯০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ১১ জানুয়ারি থেকে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশান ডিএনসিসি নগর ভবনে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই।
আবদুল হাই বলেন, শনিবার (১১ জানুয়ারি) সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এই কার্যক্রমে ডিএনসিসি এলাকায় ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বিনামূল্যে।
তিনি বলেন, ১ থেকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএনসিসি নিজে এই কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়াও ৩৭ থেকে ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী ৫ লাখ ৮০ হাজার ১৯০ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে এই ক্যাপসুল।
১১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় মিরপুর-১ মাজার রোড সংলগ্ন নেকিবাড়িরটেক নগর মাতৃসদন থেকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানান ডিএনসিসির এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান।
অনুষ্ঠানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ওপর একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মোস্তফা সারওয়ার।
লে. কর্নেল মোস্তফা সারওয়ার জানান, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি। এটি চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন ‘এ’-র অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা, এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দু’বার ভিটামিন ‘এ’-র অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।