ইরানের ৫২ স্থাপনা ধ্বংসের হুমকি ট্রাম্পের
৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:২৭ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:২৬
ইরানের ৫২টি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জেনারেল সোলায়মানির মৃত্যুর জবাব হিসেবে যদি মার্কিন কোনো সম্পত্তি বা স্থাপনায় ইরান হামলা চালায় তাহলে ওই ৫২টি স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস করে দেবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (৫ জানুয়ারি) কয়েকটি টুইট বার্তায় এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ইরান খুব সাহসের সঙ্গে প্রকাশ্যেই মার্কিন স্থাপনায় হামলার ঘোষণা দিচ্ছে। যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনোকিছুর ওপর হামলা চালানো হয় তাহলে ইরানের অন্তত ৫২টি স্থাপনায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা। আর এই ৫২টি স্থাপনা ইরানের সংস্কৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্প বলেন, ‘তাই যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি চায় না।’
কেন ইরানের ৫২টি স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়েছে? এর জবাবও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন ১৯৭৯ সালে তেহরানের মার্কিন দূতাবাস থেকে বন্দী করা ৫২ জন মার্কিনির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই সংখ্যাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে এই ৫২ জন ইরানে বন্দী ছিলেন।
এর আগে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে নয় বরং তা থেকে নিস্তার পেতেই ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে মিসাইল ছুঁড়ে হত্যা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সোলাইমানির ‘সন্ত্রাসবাদের যুগের’ সমাপ্তি হলো বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার সোলাইমানির মৃতদেহ নিয়ে শোক মিছিল করেছেন ইরাকের মানুষ। সোলাইমানি ও তার সঙ্গে হামলায় নিহত ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসের মৃতদেহবাহী কফিন নিয়ে কারবালার প্রান্তরে যায় লাখো মানুষের মিছিল। এর পরপরই বাগদাদে বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ও রকেট হামলা চালানো হয়। যার মধ্যে একটি রকেট গিয়ে পড়ে বাগদাদের মার্কিণ দূতাবাসের পাশে। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।