তীব্র বাতাস বাড়াচ্ছে দাবানল, পুড়ছে নতুন এলাকা
৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৪৯ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৫০
তীব্র বাতাসের কারণে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দাবানল নিয়ন্ত্রণের সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসের গতিবেগ শনিবার ছিল ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। আর এই বাতাস দাবানলকে আরও ছড়াতে সাহায্য করছে।
বিবিসির এক খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভিক্টোরিয়া রাজ্যের দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার।
রোববার স্থানীয় সময় সকালে নিউ সাউথ ওয়েলসের ফায়ার কমিশনার শ্যান ফিজসিমনস গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শনিবার আগুনে পুড়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় ও মানুষকে উদ্ধারের চারজন অগ্নি নির্বাপন কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন শ্বাসনালীতে ধোঁয়া ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আর অন্যজনের হাত পুড়ে গেছে।
এদিকে আগুনের সঙ্গে যুদ্ধে আরও তিন হাজার কর্মী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। যদিও এখন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় তীব্র সমালোচনার মুখে আছেন তিনি।
এক টুইট বার্তায় স্কট মরিসন বলেন, ‘এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এবং অগ্নি নির্বাপন কর্মীদের সহযোগিতা করতে আমরা আরও সেনাসদস্য মোতায়েন করছি, আকাশে আরও বেশি প্লেন ওড়াচ্ছি, সাগরে আরও জাহাজ মোতায়েন করছি, আরও বেশি ট্রাককে কাজে লাগাচ্ছি।’
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বেশকিছু এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সিডনির পশ্চিমের পেনরিথ শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েন সেখানকার মানুষ। অন্যদিকে ভিক্টোরিয়ার মালাকুটা শহরে আগুন এসে পৌঁছায় নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ সেখান থেকে হাজারও মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলসের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফলে সিডনির মতো শহরেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবহারের বিষয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া বেটম্যানস বে ও মরুয়া অঞ্চলে আগুনের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে গেছে এক হাজারের বেশি বাড়ি। প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আর মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।