মিয়ানমারের কারণে মাদক ঠেকানো যাচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:০৩ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:০৫
ঢাকা: প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের কারণে ইয়াবা নামক ভয়াবহ মাদক ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘যতবারই কথা বলেছি, মিয়ানমার ততবারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা ইয়াবা বন্ধের বিষয়টি দেখবে। কিন্তু তাদের প্রতিশ্রুতির পরও কাজ হচ্ছে না।’
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তিনভাবে কাজ করছি। ডিমান্ড হ্রাস, সাপ্লাই হ্রাস এবং সর্বোপরি মাদকাসক্তদের পুনরায় কর্মক্ষম করতে নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। এর বিপরীতে ৮০ হাজারের ওপর বন্দি রয়েছে কারাগারে। যার বেশিরভাগই মাদকের আসামী। মাদক মামলা নিস্পত্তির জন্য আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। পাচার হওয়ার পর অবশিষ্ট যা থেকে যাচ্ছে সেসব এখানে বেচাকেনা হচ্ছে। ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। চোরাচালানের রুট হিসেবে যাতে কেউ বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্যও সরকার কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, চীন একটি আফিম খোরের দেশ ছিল। আফিম খেয়ে চীনের লোকজন দিনের পর দিন ঘুমিয়ে থাকতো। সেখান থেকে মাও সেতুং টেনে নিয়ে চীনকে আজকে কোথায় নিয়ে গেছে। আমরাও পারব মাদককে রুখে দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে।
মাদককে রুখবো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো শ্লোগান দিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহীদুজ্জামান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু হয় তা থামবে না। চলমান থাকবে। মাদক কর্মক্ষম মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। কর্মক্ষমতা না থাকলে দেশ পিছিয়ে যায়। আমরা তা কোনোভাবেই সফল হতে দেব না। মাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এগিয়ে না আসলে কোনো বাহিনী বা অধিদফতরের পক্ষে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়।
সভাপতির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে মাদকের সাথে এর কারবারিদের নতুন আইনে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে কর্মরত সংশ্লিষ্টদের আগের চেয়ে জনবল, যন্ত্রপাতি ও সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। প্রত্যেক জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাজ শুরু করলেও এখনো ২৩টি জেলায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র করা সম্ভব হয়নি। ওইসব জেলায় নিরাময় কেন্দ্র করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।