নেতিবাচক রাজনীতির কারণে মানুষ বিএনপিকে চায় না: কাদের

ঢাকা: নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই মানুষ বিএনপিকে চায়না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পার্সেন্টেজ হারাতে হারাতে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা একসময় তলানীতে গিয়ে ঠেকবে বলেও মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণে গঠিত টিমের সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

‘দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ক্ষমতাসীন সরকারকে সরকারে দেখতে চায় না’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৯০ শতাংশ মানুষই নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপিকে চায় না। এ সংখ্যাটা আস্তে আস্তে আরও কমবে। এই পার্সেন্টেজ আরও কমবে। ৯১ শতাংশ থেকে ৯২ শতাংশ, ৯২ থেকে ৯৪ শতাংশ এভাবে তলানিতে গিয়ে তারা পৌঁছাবে।

সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোটে কারচুপি হবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে বিএনপি নেতারা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ এখনও আসেনি। এমনকি যেসব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে বিএনপির রেকর্ডও বেশি।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপি পর্যেবেক্ষণে বিএনপি অংশ নিয়েছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হওয়ার আগেই এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার অর্থ হয় না। তারা আসলে ক্ষমতার রাজনীতি করে, ক্ষমতাকেন্দ্রিক পলিটিক্স করে। ক্ষমতা পেলে সব ঠিক, ক্ষমতা না পেলে ঠিক নাই। তারা নিজেদের হিসাব মতো চলে। তারা গণতন্ত্রের ভাষা বোঝেন না, তারা আইন মানেন না, তারা আদালত মানেন না, তারা সংসদ মানেন না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য যেনতেনভাবে ক্ষমতার রাজনীতি করে ক্ষমতায় যাওয়া। ক্ষমতায় গিয়ে তাদের লক্ষ হয় লুটপাট, দুর্নীতি ও হাওয়া ভবন সৃষ্টি করা।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব সিদ্ধান্ত সঠিক নাও হতে পারে। সেজন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া পর্যন্ত আমাদের টিমওয়ার্ক হচ্ছে। প্রার্থীর অবস্থানটা বা বিতর্কিত প্রার্থী থেকে থাকলে সেগুলো ফাইন্ড আউট করা হবে।

এর আগে সারাদেশে শীতার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য দুটি টিম গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। সেই টিমের সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল কাদের। সভায় প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পির মৃত্যুতে শোক ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা, শাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অন্যরা।

ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ বিএনপি সিটি নির্বাচন