Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্ব এখন বাংলাদেশ থেকে নেতৃত্ব চায়: পররাষ্ট্র সচিব


১ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৪৬ | আপডেট: ১ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:১৮

ঢাকা: বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকসহ সার্বিকভাবে অনেক শক্তিশালী দেশ, যা গত ২০-২৫ বছরে ছিল না। বিশ্ব এখন বাংলাদেশের কাছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব আশা করে বা অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে কারণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিকে আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সদ্য যোগ দেওয়া পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বুধবার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

তার আগে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘ডিক্যাব’ নতুন পররাষ্ট্র সচিবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।

মাসুদ বিন মোমেন জানান, নতুন বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেবে তা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ২০২০ সালের করণীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

ওই বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সারাবিশ্বে বাংলাদেশের এখন যে অবস্থান, তা আজ থেকে ২০ বছর আগের মতো না। আমরা এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পর্যায় পার করেছি। বিশ্ব আমাদের কাছ থেকে এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব চায়, বা অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্য আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে কারণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিকে আরও ঢেলে সাজানো বা শক্তিশালী করার বিষয় রয়েছে।’

এই বছরে অনেকগুলো উল্লেখ করার মতো বড় বড় ইভেন্ট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী মে বা এই সময়ের মধ্যে ডি-৮ সামিট এছাড়াও বিমসটেক সামিট এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এই দুইটা বড় বৈশ্বিক অনুষ্ঠান।’

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, ‘আগামী ১৭ মার্চ জাতি জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বিশেষ করে যে সকল দেশে বাংলাদেশের মিশন রয়েছে সেখানে বছরব্যাপী একাধিক অনুষ্ঠান হবে। এই বিষয়গুলোকে আরও কীভাবে গতিশীল করা যায়, ওই বৈঠকে এটা মূল ফোকাস ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন নিয়ে আলোচনা হয়।’

‘যে বিষয়গুলো বেশি আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের কাজ আরও কীভাবে গতিশীল করা যায় এবং মিশনগুলোর ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব সেগুলো আরও ভালোভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ফল নিয়ে আসা যায়, এই বিষয়ে আলোচনা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে আমরা চাচ্ছি যে, একটা টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে, অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ে একটি ভালো টিম থাকবে, যারা একইভাবে মিশনগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্টভাবে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করবে। যাতে সকলকে আস্থায় এনে মন্ত্রণালয় এবং মিশনগুলো টিম ওয়ার্ক করতে পারে। সবাই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করছি, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটাকে কীভাবে সারাবিশ্বে অগ্রযাত্রার চিত্র হিসেবে তুলে ধরতে পারি, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা তো থাকবেই, এটা চলমান প্রক্রিয়া। যার মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট, বাণিজ্য বিষয়ে বহুপাক্ষিক থেকে দ্বিপাক্ষিকের দিকে যাওয়ার প্রবণতা, বাংলাদেশের জন্য এগুলো ভালো না। এই বিষয়গুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সে পথ বের করতে হবে। এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর আমাদের সুযোগ সুবিধাগুলো আরও থাকবে না। সুতরাং সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলা কিভাবে করব তা নিয়ে কাজ করতে হবে। তৈরি পোষাকখাতের জিএসপি সুবিধা পাওয়ার জন্য এখন থেকেই নেগোশিয়েশন শুরু করতে হবে। সামনে অনেক কাজ আছে।’

রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা চ্যালেঞ্জের ডায়মেনশন আরও বাড়ছে। এই ইস্যুতে আগে আমরা দ্বিপাক্ষিক পথে হেঁটেছি। এরপর বহুপাক্ষিক পথে হাঁটা শুরু করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এই ইস্যুতে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য বিচারিক পথেও চলছি। এগুলো সবগুলোই আসলে একটির সঙ্গে আরোকটি জড়িত। এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য হল রোহিঙ্গারা যাতে সম্মান এবং নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের বাসভূমি মিয়ানমারে ফিলে যায় তা নিশ্চিত করা।’

টপ নিউজ নেতৃত্ব বিশ্ব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর