বেতন কমানোর প্রতিবাদে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অবরুদ্ধ
২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৩৩ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৫২
ঢাকা: বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামো বাতিলের প্রতিবাদে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মতিঝিলে সেনাকল্যাণ ভবনে বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভা চলাকালীন সময়ে তাদের অবরুদ্ধ করা হয়।
সবশেষ খবর, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন।
এ বিষয়ে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সারাবাংলাকে বলেছেন, ‘আমাদের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক চলছে। এসময় কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এসে হৈ-চৈ শুরু করে। তবে আমরা তাদের বলেছি, রাষ্ট্রীয় বেতন কাঠামো অনুযায়ী আপনাদের বেতন নির্ধারণ করা হবে। বেসিক ব্যাংকের জন্য আদালা বেতন কাঠামো করার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, পরিচালনা পর্ষদ ইচ্ছে করলেই সবকিছু করতে পারে না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী সারাবাংলা জানান, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে তারা পরিচালনা পর্ষদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর, সোমবার স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামো বহাল রাখার দাবিতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আলমকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সেসময় তারা ব্যাংকের এমডি’র কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বহাল রাখার দাবি জানান। এর ফলে সাড়ে ৫ ঘণ্টা নিজের কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে ছিলেন রফিকুল আলম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির বেসিক ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো দেখেই তারা এই ব্যাংকে চাকরি শুরু করেছিলেন। এখন বেতন কমানো অযৌক্তিক। কোনো কারণ দেখিয়েই বেতন কমিয়ে দেওয়া যায় না।
তাছাড়া কম বেতন হলে এই ব্যাংকে চাকরিই করতেন না বলেও উল্লেখ করেন অনেকে। তাই স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বহাল ও নতুন অফিস আদেশ বাতিলের দাবিতে এমডিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বলে জানান তারা।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ব্যাংকটি লোকসানে পড়েছে। তাই এর দায়ভার আমরা কেন নেব?’
গত ২২ ডিসেম্বর, রোববার বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামো বাতিল করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুরূপ বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার কথা জানিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়। ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগের মহ্যব্যবস্থাপক আহমেদ হোসেনের সই করা ওই আদেশে বলা হয়, বেসিক ব্যাংকের বেতন কাঠামো হবে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অনুরূপ।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত জানার পর থেকে ব্যাংককের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস আদেশ বাতিলের জন্য আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বেসিক ব্যাংকের এমডি সাড়ে ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ