‘নুরসহ ৪ জন ভালো থাকলেও আশংকামুক্ত নন সুহেল’
২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৫৩
ঢাকা: হামলায় আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৪ জনের অবস্থা ভালো থাকলেও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেল আশংকামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক জানান, সুহেলের মাথায় ফ্র্যাকচার, কোমড়ে ব্যথা এবং চোখ এখনও ফোলা আছে। এসব কারণে এখনও তাকে আশংকামুক্ত বলা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
ডা. রাজিউল হক বলেন, ‘সুহেলের মাথায় ফ্র্যাকচার আছে, কোমড়ে আঘাত আছে। আঘাতের ধরনে মনে হচ্ছে তাকে ওপর থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। মাথার ভেতরে বাতাস ঢুকেছে। এই বাতাসের কারণে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। সুহেলের চোখেও সমস্যা আছে। চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক তাকে দেখেছেন। তবে তার চোখের যে পরীক্ষা সেটা দাঁড়িয়ে করতে হবে। সে কিছুটা সুস্থ হলে তারপর পরীক্ষা করতে হবে।’
বিফ্রিংয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইসিইউতে থাকা ফারাবীর শারিরীক অবস্থা ভালো। আমাদের সাথে তার কথা হয়েছে। অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।’
‘ভিপি নুরসহ সবাই ভালো আছেন’
ফারুক হাসানের ব্যাপারে পরিচালক বলেন, তার কানে আঘাত আছে। আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। তকে তার শারীরিক অবস্থা ভালো। এছাড়া আমিনুরের মাথায় আঘাত আছে। তারও সিটিস্ক্যানসহ বেশকিছু পরীক্ষা করা হবে। তাকে দুই তিন রাখতে হবে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরসহ আহতদের চিকিৎসায় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের প্রধান নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রাজিউল হককে। এছাড়া অর্থোপেডিক, নাক-কান-গলা (ইএনটি), অ্যানেসথেশিয়া, নেফ্রোলজিসহ আরও ৮টি বিভাগের আট জন চিকিৎসককে নিয়ে এ বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।