বৈদেশিক উৎস থেকে অনুদান নিতে পারবে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:২৯ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:৫০
ঢাকা: বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৯-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ফলে বোর্ডের তহবিলের উৎস হিসাবে সরকারের অনুমোদন নিয়ে বৈদেশিক উৎস থেকে অনুদান নিতে পারবে। এছাড়া আইনে মাদরাসা শিক্ষার ধরণ, মেয়াদ, মান ও যোগ্যতা সনদ নির্ধারণ বিষয়ে বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজনে পরামর্শক বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে পারবে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। মাদরাসা এডুকেশন অর্ডিনেন্স, ১৯৭৮-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। শিক্ষার বিকাশে ৪১ বছরের পুরনো ও ইংরেজিতে লিখিত আইনটি সময়ের চাহিদা পূরণে জন্য যথেষ্ট নয়। এছাড়া সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের বিষয়ে সেগুলোর আবশ্যকতা পর্যালোচনা করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন/পরিমার্জন ও রহিতক্রমে নতুনভাবে প্রণয়নের জন্য মন্ত্রিসভার নির্দেশনা রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৯ এর খসড়া প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনে মোট ৩০টি ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যমান অধ্যাদেশে উল্লেখিত ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে ‘পরিচালনা পর্ষদ’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। বিদ্যমান অর্ডিনেন্সে বোর্ডের কোনো সদস্য সচিব ছিল না। বর্তমানে খসড়া আইনে রেজিস্টারকে সদস্য সচিব হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
সচিব ব্রিফিংয়ে আরও জানান, প্রস্তাবিত খসড়ায় আইনের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়- এমন কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বোর্ড পরামর্শক বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে পারবে। এ জন্য নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় সহায়তা করার বিধান রেখে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে প্রস্তাবে।