এবার ‘চেনামুখ’র মোড়ক খুললো মুখোশ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২২:৪৪ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২৩:০৮
শাহ্ ওমর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ভালোবাসার মাসে ফাগুনের উষ্ণতা নিয়ে প্রিয় শ্রোতাদের অনেক দিনের অভিমান ভাঙাতে তৃতীয় অ্যালবাম ‘চেনামুখ’ নিয়ে হাজির হলো মুখোশ।
নব্বইয়ের দশকে কিছুটা চেনামুখই হয়ে উঠেছিলো ‘মুখোশ’ নামের ব্যান্ড দলটি। এই নামেই ছিলো তাদের প্রথম অ্যালবাম। কিন্তু অনেক দিন ছিলো লোকচক্ষুর অন্তরালে। পরে গত ডিসেম্বরে ফের নিজেদের খোলশের বাইরে আনে মুখোশ ‘ডিজিটাল ভালোবাসা’ নিয়ে। কিন্তু এবার বুঝি সত্যিই গা ঝাড়া দিয়ে উঠলো ব্যান্ড দলটি। নইলে দুই মাস না পেরোতেই দ্বিতীয় অ্যালবাম নিয়ে হাজির। তাও যেনোতেনো ভাবে নয়। রীতিমতো মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে। আর এই অনুষ্ঠান থেকেই ঘোষণা হলো, পহেলা বৈশাখে আসছে তাদের চতুর্থ অ্যালবাম।
আয়োজনটি ছিলো অনাড়ম্বর। তবে এর ওজনটা ছিলো বেশ ভারি।
এখনকার সঙ্গীত জগতের (বিশেষ করে সুর ও সঙ্গীত সৃষ্টিতে) গুরু মানা হয় যে ফুয়াদ নাসের বাবুকে, তাকেই দেখা গেলো মঞ্চে। আর তিনি যখন বললেন, চেনামুখই শুধু আজ উন্মোচিত হলো না। শোনা গেলো চেনা সুরও। তখন আর বুঝতে বাকি থাকলো না চেনামুখের গান তার ভালো লেগেছে। নব্বইয়ের দশকে জয়জয়কার পড়ে গিয়েছিলো যে ব্যান্ড সঙ্গীতে, তারই ফিরে আসা দেখছেন তিনি চেনামুখে।
মোড়ক খুলে যখন মঞ্চের তারকারা দাঁড়িয়ে গেলেন তখন চোখে পড়লো দুটি মুখ। একটি রাজু অন্যটি রোজের।
বাহ রাজু ও রোজ… দুই বন্ধুর ব্যান্ড। দুই বন্ধুর মধ্যে সমঝোতা যে দারুণ তা তাদের প্রদর্শিত মিউজিক ভিডিওতে দর্শকরা দেখেছেন। নামের মিলটি বাড়তি দ্যোতনা, সেটা বললেন মঞ্চে অপর সঙ্গীত তারকা সন্দীপণ। তিনি বলেন, আমার খুব আনন্দ হচ্ছে যে, নব্বই দশকের সেই পুরনো গান পুরনো স্মৃতি ফিরে পাচ্ছি।
আর জলের গানের রাহুল আনন্দতো বাংলা নাম, বাংলা গান, আনন্দ, জীবনানন্দকে চেনামুখে পেয়ে বেশ খুশি বলেই জানালেন।
তিনি বলেন, মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল, ব্যান্ডের নাম মুখোশ আর গানের নাম চেনামুখ কেন? কিন্তু মিউজিক ভিডিওটি দেখার পর সেই ধারণাটা পাল্ট গেছে। মনে হচ্ছে চেনামুখেই ফিরে এসেছে মুখোশ।
রাজধানীর বেইলি রোডের ক্যাফে থার্টি-থ্রিতে ছিল ‘চেনামুখ’র মোড়ক উন্মোচন।
মুখোশ ব্যান্ড দলটি ১৯৯৭ সালে জন্ম নিলেও ২০০০ সালে তাদের মুখোশ নামের প্রথম অ্যালবামটি আসে। দীর্ঘ সতেরো বছর পর গত বছর ডিসেম্বরে ‘ডিজিটাল ভালোবাসা’ নামে তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ হয়। গানে গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে তারা এ বছরের গোড়াতেই এলো তৃতীয় অ্যালবামটি। চতূর্থটি আসছে এপ্রিলের মাঝামাঝিতে।
মুখোশ ব্যান্ডের রাজু সারাবাংলাকে বলেন, যেহেতু সতেরো বছর আমরা শ্রোতাদের কিছুই দিতে পারিনি, সে জন্য আমরা একটু ভালোভাবেই ফিরে আসতে চেষ্টা করছি। প্রতিটি অ্যালবামে আমরা শ্রোতাদের নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, এখন আগের মতো সিডির দোকান নেই, তাই সব মিউজিক ভিডিও ফেসবুক আর ইউটিউবে রিলিজ হয়। তাই আমরাও এই পন্থা অনুসরণ করেছি।
অ্যালবামটি সম্পর্ক রাজু বলেন, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি অ্যালবামের গানগুলোতে নব্বই দশকের সেই আবেগ সেই ফ্লেভার বজায় রাখতে। সেটা পেরেছি বলেই আমার বিশ্বাস। বাকিটা শ্রোতাদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি।
সারাবাংলা/এসও/এমএম