Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কমপ্লায়েন্স মেনে উন্নয়ন কাজ না করলেই জরিমানা: আতিকুল ইসলাম


১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৩২ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:২১

ঢাকা: কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি কমপ্লায়েন্স মেনে উন্নয়ন কাজ না করলেই সেই ব্যক্তি বা সংস্থাকে জরিমানার আওতায় আনা হবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকেই এই অভিযান শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) আয়োজনে ‘অনিয়ন্ত্রিত দূষণে ঢাকা: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আতিকুল ইসলাম বলেন, দূষণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় আমরা সরকারের কাছে আরও ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। যারা পরিবেশ দূষণ করে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা করছেন তাদের বলতে চাই আপনারা এমন ব্যবসা বন্ধ করে দিন। শুধু তাই নয় স্পষ্টভাবে বলছি যারা কমপ্লায়েন্স না মেনে উন্নয়ন কাজ করছেন তাদেরকে জরিমানার আওতায় আনা হবে। আমরা যদি যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি তাহলেই কিন্তু শহরটা নিরাপদ করতে পারি।’

মেয়র আরও বলেন, রাজউক, ওয়াসা, পিডিবিসহ সিটি করপোরেশনের কন্ট্রাক্টরা যারা রাস্তা খোঁড়ার কাজ করছেন তারা অবশ্যই কমপ্লায়েন্সের মাধ্যমে কাজ করুন অন্যথায় জরিমানা করা হবে। যদিও আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তা নিয়েই আমাদের কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। আনিসুল হক আমাদের তেমনটাই দেখিয়ে গেছেন। পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ আমাদের ঢাকা সিটি এখন আর মেগা সিটি নেই এখন এটা গ্যাগা সিটিতে পরিণত হয়েছে।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান বলেন, শব্দ দূষণের প্রভাব সম্পর্কে অবগত হওয়ার সময় এসেছে। এই শহরে ৭০% মানুষ বিষন্নতায় ভোগে। বিষন্ন নগরী উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারেনা। পরিবেশ আগে না উন্নয়ন আগে এই তর্ক এখন অহেতুক। ঢাকা পরিকল্পনার মধ্যে অনেক কিছু আছে কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। আইন প্রয়োগের অভাব, রয়েছে সুশাসনের অভাব। স্যোশাল ইমপ্যাক্ট এসেসম্যান্ট করে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। মেয়রকে নিজের ক্ষমতার ব্যবহার করে এই দূষণের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন করতে গিয়ে আমরা মরণ ফাঁদ তৈরি করেছি। উন্নয়নের আগে কিছু এসেসম্যান্ট করা প্রয়োজন। হৃদরোগের অন্যতম কারণ এই দূষণ। বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় আমরা সব সময়ই ১ থেকে ৪ এর মধ্যে ছিলাম। এবারও আছি। ঢাকার বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ ঢাকার চারপাশের ইটভাটাগুলো। দ্বিতীয়ত গাড়ির ধোঁয়া। ঢাকার মধ্যেও কিছু কলকারখানা রয়েছে। এছাড়া গৃহস্থালির আবর্জনাও আরেকটি কারণ। প্রতিবছর ২ লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এসব সমাধানে নগর পার্লামেন্টের ওয়ার্ড পার্লামেন্ট তৈরি হোক। যাতে প্রান্তিক নাগরিকদের উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, এক নাম্বার সমস্যা বাড়তি জনসংখ্যা, দ্বিতীয়ত দ্রুত সময়ে উন্নয়ন প্রবণতা।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নগর পরিকল্পনবিদ ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্বের ৭ম জনবহুল শহর। ঘনত্বের দিক দিয়ে এটা প্রথম। এমন বাস্তবতায় আসলে আমাদের অবস্থা এমনই হওয়ার কথা। আর উন্নয়ন এখন সংখ্যা তাত্বিক একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ইটিপি বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তৈরি হলেও সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছেনা।

অপর নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, শব্দ দূষণে যখন নগরবাসী অতিষ্ঠ তখন শুধু নীতি নির্ধাকরদের শব্দ দূষণের বাইরে রাখার প্রয়াস প্রমাণ করে আমাদেরকে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব কাদের হাতে সমর্পিত করা হয়েছে। তাই অবশ্যই সমন্বয়হীন কাজ বন্ধ করতে হবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে যেকোনো জনবান্ধনহীন কাজকর্ম বন্ধ করার দায়িত্ব মেয়রকে নিতে হবে। বায়ু দূষণ ১২/১৪ গুণ হারে অসুস্থ করছে সন্তানদের। এই নগরীতে কে কি ব্যবসা করবে, তা কতটুকু পরিবেশ বান্ধব এটা নিশ্চিত করুন। সাবেক মেয়র আনিসুল হক এই কাজটি করেছিলেন বলেই নন্দিত হয়েছিলেন।

বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ডুরার সভাপতি মশিউর রহমান খান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেল।

টপ নিউজ মেয়র আতিকুল

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল, নিহত ৫
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর