ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন সখিপুরের ইউএনও এবং ওসি
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৪২ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৪৩
ঢাকা: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তথ্য না দিয়ে তার পরিচয় যাচাই এবং রিট আবেদনকারীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন টাঙ্গাইলের সখিপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে তারা হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাদেরকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তপো গোপাল ঘোষ। আর ইউএনও এবং ওসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট একেএম ফয়েজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল প্রহলাদ দেবনাথ।
পরে তপো গোপাল ঘোষ জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুরের গজারিয়ার একটি সরকারি পুকুর ইজারায় সর্বোচ্চ দরদাতা অপু আহমেদকে না দিয়ে তার চেয়ে কম দরদাতাকে ইজারা দেওয়া হয়। পরে ওই ইজারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অপু আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে খোঁজ খবর নিতে বলেন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, আমরা তথ্য চাইলে ইউএনও এ বিষয়ে অপারগতা জানান। উনি ওসি সাহেবকে বলেন, আইন কর্মকর্তার আইডেন্টিটি ঠিক আছে কিনা, তা যাচাই করার জন্য। মূল মামলার বাদী অপু আহমেদ কেন ঢাকায় অবস্থান করছেন সে বিষয়েও তারা ফোন করে ধমক দিচ্ছেন। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে ওই ইজারা কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ইউএনও এবং ওসিকে হাইকোর্ট তলব করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তলব আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হাজির হয়ে সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও ওসি নিঃশর্তভাবে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।