থানার বদলে দুদক কার্যালয়ে এজাহার কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:০৪ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:২২
ঢাকাঃ থানার বদলে দুদক কার্যালয়ে এজাহার গ্রহণ করা কেন বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর)বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও দুদক সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও আইনজীবী মমতাজ পারভীন। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
পরে আইনজীবী মমতাজ পারভীন জানান, রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯) এর ১(২)(ঘঘ)(ছ), ৪, ৯ (ক), ১০ নম্বর বিধি ও ফরম-২খ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছিল।
শুনানি করে আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯) এর ১(২)(ঘঘ), ৪, নম্বর বিধি ও ফরম-২খ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে রুল জারি করেছেন।
দুদক নিজেই মামলা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ সংশোধন করে গত ২০ জুন গেজেট জারি করে।
এই বিধিমালার ৪ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, এই বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন আইনের তফসিলে উল্লিখিত কোনো অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকিবে না, তবে সংশ্লিষ্ট থানা উক্ত অভিযোগটি প্রাপ্তির পর উহা রেজিস্ট্রিারভূক্ত করিয়া অনধিক দুই কার্যদিবসের মধ্যে আইন অনুযায়ী তদন্তকার্য পরিচালনার জন্য উহা কমিশনবহির্ভূত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিকটস্থ জেলা কার্যালয়ে এবং কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কমিশন বরাবরে প্রেরণ করিবে।
আর ১০ নম্বর বিধিতে দুদককে তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
এই সংশোধনী বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরে গত ১৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ও নওশীন নাওয়াল রিট আবেদনটি করেন।