কারখানায় আগুন: ঢামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ১০ জনকে হস্তান্তর
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৪৪ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০৩
ঢাকা: কেরাণীগঞ্জের চুনকুঠিয়ায় প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ১০ জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।
জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আব্দুল আওয়াল। তিনি বলেন, ‘নিহতের দাফন কাফনের জন্য তাদের পরিবারকে আপতত ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আহতদেরকেও চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন: ঢামেকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
নিহতরা হলেন কেরাণীগঞ্জের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আলম (৩৫), পিরোজপুর সদর উপজেলার মৃত নুরুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫), নরসিংদী সদর উপজেলার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বাবলু (২৬), নড়াইল সদর উপজেলার ইউসু্ফ বিশ্বাসের ছেলে রায়হান বিশ্বাস (১৬), পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আনছার হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদার (১৮),বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহিম খলিফার ছেলে আব্দুল খালেক (৩৫), মাগুরা জেলার সালিথা উপজেলার মোতালেব মোল্লার ছেলে জিনারুল মোল্লা (৩২), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে সালাউদ্দিন (৩২), বরিশাল হিজলা উপজেলার খলিল দেওয়ানের ছেলে সুজন দেওয়ান (১৯), মুন্সীগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার হানিফ দেওয়ানের ছেলে ফয়সাল দেওয়ান (২৪)।
সিনিয়র কমিশনার আব্দুল আওয়াল জানায়, তিনটি মরদেহ ময়নাতদন্ত না হওয়ায় আগামীকাল হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে মাহবুব হোসেনের মৃতদেহ স্বজনরা শুধু হাতের ব্রেসলেট দেখে শনাক্ত করেছে। সেটি আগামীকাল ডিএনএ নমুনা দেওয়া হবে। ওমর ফারুক (৩৬) ও মেহেদী হাসানের মরদেহ শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর হস্তান্তর করা হবে।
এ ছাড়া শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি আছেন ১০ জন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে সোহাগ (১৯), ৪০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন মফিজ (৪৫), ৫০ শতাংশ নিয়ে সুমন (২২), ২০ শতাংশ নিয়ে মোস্তাকিম (২২), ৫০ শতাংশ নিয়ে সোহান (২৫), ৮০ শতাংশ নিয়ে আবু সাঈদ (২৯), ১০০ শতাংশ নিয়ে ফিরোজ (৩২), ৫০ শতাংশ নিয়ে আসাদ (১৪), ৭০ শতাংশ নিয়ে সিরাজুল (১৯)।
এছাড়া পুরনো বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন আটজন। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নিয়ে ভর্তি আছেন বশির (১৮), ১৯ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি জিসান (১৬), ২০শতাংশ নিয়ে ভর্তি আছেন লাল মিয়া (৪০), ২২ শতাংশ নিয়ে ভর্তি আছেন সাখাওয়াত হোসেন (২৬), ২৯ শতাংশ নিয়ে ভর্তি আছেন জাকির হোসেন (২৪), ১০ শতাংশ নিয়ে ভর্তি আছেন সাজিদ (২৯), ২০ শতাংশ নিয়ে ভর্তি আছেন আসলাম (১৯)।